১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: বাইপাস সড়ক চাই
টাঙ্গাইল ১১টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এবং এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীভূত একটি জেলা। সড়ক ও রেলপথে সারা দেশের সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার যোগসূত্র বিদ্যমান। টাঙ্গাইলের মাটিতে পা না ফেললেও নিঃশ্বাস ফেলেছে দেশের অর্ধেক মানুষ। সুতরাং টাঙ্গাইল জেলাবাসী রাষ্ট্রের যেকোনো নীতিতে প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এ জেলার কোনো না কোনো উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর সংবাদ প্রায় প্রতিদিন সংবাদপত্রে আসছে। টাঙ্গাইলের উত্তর-পশ্চিমে ৩০ কিলোমিটার দূরে ভূঞাপুর উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলা শহরের বাজারের মধ্য দিয়ে ষাটের দশকে তৈরি অপ্রশস্ত সড়ক দিয়ে ঢাকা-তারাকান্দির বাস, তারাকান্দি সার কারখানার ভারী ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, নছিমন, রিকশা, ভ্যান ইত্যাদি চলাচল করতে গিয়ে দিনের প্রায় সারাক্ষণ জট পাকিয়ে থাকে এবং কখনো কখনো চালকে চালকে মারামারি লেগে যায়। মারামারিতে বাজারের দোকানিরাও জড়িয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, ভূঞাপুর বাজারের দক্ষিণ ও উত্তরে যথাক্রমে প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ মহাবিদ্যালয়, বালক ও বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, উপজেলা হাসপাতাল এবং জিয়া মহিলা কলেজ ও পৌরসভা দপ্তর এই অপ্রশস্ত সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত, যে কারণে সকাল থেকে রাত অবধি যানজট, দুর্ঘটনা ও সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তি লেগেই থাকে।
এসব নিরসনকল্পে শহর উন্নয়নবিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা যাচ্ছে যে শিয়ালকোল সেতু থেকে ঘাটাদি, লক্ষ্মীপুর, পূর্ব ভূঞাপুর, বাহাদীপুর মৌজার ওপর দিয়ে বয়ড়ার মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ভূঞাপুর বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হোক, যাতে ভূঞাপুর উপজেলা শহরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।
এ এম তুলা
টাঙ্গাইল।