জামায়াতের পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলো অবাঞ্ছিত

0
151
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা: জামায়াতের মালিকানাধীন পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি।

রোববার রাজধানীর পরিবহন ভবনে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এ ঘোষণা দেন।

গ্রিনলাইন, আবাবীল, পাঞ্জেরী পরিবহনসহ জামায়াতের মালিকানাধীন সব পরিবহনের সদস্যপদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি বাতিল করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সমিতির মহাসচিব।

খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, “আমরা পত্রপত্রিকা ও নানা সূত্রে তিনটি পরিবহনের খবর পেয়েছি, যা জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবহন তিনটি হলো গ্রিনলাইন, আবাবীল ও পাঞ্জেরী পরিবহন। এ তিনটিসহ অন্য সব পরিবহনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যদি সঠিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে জামায়াতের সব পরিবহনের সদস্যপদ বাতিল করার হবে, এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি।”

জামায়াতের হরতাল সম্পর্ক এনায়েত উল্লাহ বলেন, “আমরা আগামীকালের হরতাল সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি। ঢাকাসহ সারা দেশে বাস-মিনিবাস-ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামায়াত-শিবির গত এক বছর যাবৎ হরতাল দিচ্ছে।

হরতালে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। তারা ব্যাংক ঋণের কিস্তির টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে পারছের না। অনেকে দেউলিয়া হওয়ার পথে। হরতালে গণপরিবহন চলাচলের সময় নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমরা আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।”

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মহাসচিব বলেন, “১৯৭১-এর রাজাকাররা ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যা করেছে। রাজীবের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির তিনজন সহ-সভাপতি মো: আবুল কালাম, রুস্তম আলী, আবুল কালাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ নয়ন, সায়েদাবাদ টার্মিনাল রুট শ্রমিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী শোভাসহ সড়ক পরিবহন সমিতির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৩   

শেয়ার করুন