রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), রাজশাহী প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রুয়েট) মহানগরীর সকল স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় রোববার সকাল ১০টায়। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে জাতীয় পতাকা তুলে, জাতীয় সঙ্গীত কণ্ঠে নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সংহতি জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
এ সময় গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়, নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করা শাহবাগ গণআন্দোলনের কর্মী স্থপতি আহমেদ রাজীব হায়দারকে।
রোববার সকালে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো রাজশাহী মহানগরীর সকল শিক্ষাঙ্গনেও উচ্চকিত হয়েছে, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। সেই সঙ্গে বার বার প্রতিধ্বণিত হয়েছে, ‘রাজাকারদের ফাঁসি চাই’। মহানগরী ছাড়াও জেলা ও উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়নের তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নূরজাহান বেগম বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃফুর্তভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে অংশ নেন। তবে তার স্কুলে এসএসসি পরীক্ষা চলায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় মাইক ব্যবহার করা হয়নি।
মহানগরীর নওদাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়েই সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শাহবাগের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। পরে তারা ব্লগার রাজীবকে স্মরণ করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে।
প্রসঙ্গত, শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে গণআন্দোলনের ১১তম দিন শুক্রবার ‘জাগরণ সমাবেশ’ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিসহ ৬ দফা দাবিতে ঘোষণা করা হয়েছিল রোববারের এ জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি। এছাড়া রাজীব হায়দার শহীদ হওয়ার ঘটনায় সোমবার পালিত হবে কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি।
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৩