সংরক্ষণের অভাবে কম দামে আলু বিক্রি

0
224
Print Friendly, PDF & Email

কৃষি ডেস্ক(১৬ ফেব্রুয়ারী): কিশোরগঞ্জে হোসেনপুরে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও ওই উপজেলায় কোনো কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন আলু চাষিরাফলে আলু চাষিরা এক দিকে যেমন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অপর দিকে চাষিদের ঘামঝরানো লাভের টাকা চলে যাচ্ছে ফড়িয়াদের পকেটেএতে কৃষকের পরিবর্তে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ও মওসুমি ব্যবসায়ীরা

 

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছেএতে কৃষকপর্যায়ে আবাদ হয়েছে এর দ্বিগুণেরও বেশিফলনও হয়েছে বাম্পারডায়মন্ড জাতের আলুর কাঠাপ্রতি গড় পাদন হয়েছে ৩৬ মণউপজেলার জামাইল গ্রামের আলু চাষি নুরুল হক জানান, তিনি এ বছর দুই একর জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলুচাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেনতবে সংরক্ষণের অভাবে ক্ষেতেই বেশির ভাগ আলু ৪০০-৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনিউপজেলার কাউনা গ্রামের আবদুল কাইয়ুম জানান, তিনি এ বছর সাড়ে তিন একর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আলু চাষ করে একর প্রতি গড়ে ফলন পেয়েছেন ৩৫০ মণকিন্তু তিনি মাত্র ৪২০-৪৫০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেনফলে তিনি সব খরচ বাদ দিয়ে আশানুরূপ লাভবান হতে পারেননি

 

স্থানীয় মওসুমি আলু ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন, রিপন মিয়া, খালেকসহ আরো অনেকেই জানান, মওসুমের শুরুতেই তারা গড়ে ৪০০-৫০০ মণ আলু কৃষকের ক্ষেত থেকে ক্রয় করে পাশ্ববর্তী উপজেলার হিমাগারে রেখেছেন, এলাকাবাসী জনগণ উপজেলায় কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে উপাদিত বিপুল পরিমাণ আলু চাষিরা মওসুমের শুরুতেই কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেনএতে আলু উপাদনের বেশির ভাগ অর্থ চলে যায় দালাল, ফডিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটেফলে কৃষকেরা আলুর ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন প্রতিবছর

 

 

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন