ঢাকা,(১৪ ফেব্রুয়ারী) :অন্ধকার ঠেলে কোটি কোটি মোম শিখায় জ্বলে উঠল দেশ। রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে সারা দেশের হৃদয় যে শাহবাগ সেখানে এখনো লাখো মোমের আলো।
সেই সঙ্গে এক মিনিটের নিরবতায় থমকে গেলে সব কোলাহল, থমকে থাকলো দেশ।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যে যেখানে রয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সন্ধ্যা ৭টায় মোমবাতি জ্বালিয়ে দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন। এ ছিল প্রতিবাদের আরেকটি ভাষা। যে ভাষায় সারাদেশ অন্ধকারের অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় জানান দিল। অন্ধকার ঠেলে আলোয় জ্বলে উঠলো সারাদেশের মানুষ।
শাহবাগের তরুণ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সারাদেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেশব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হলো।
এ সময় গণজাগরণ মঞ্চে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মুনতাসির মামুন, মান্নান হীরা, মোমেনা চৌধুরী, অঞ্জন রায়, জ্যোতিকা যুথি।
শাহবাগ চত্বরে নেই তিল ধারনের ঠাঁই।
যে যেখানে যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থায় একটা করে মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে যায় মানুষ। আর সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ। তারা জানিয়ে দেন দেন, তাদের প্রাণের দাবি- একটাই দাবি, রাজাকারের ফাঁসি।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লাসহ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের বৃহস্পতিবার ছিল ১০ম দিন। এই আন্দোলনের ঢেউ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রবাসেও।
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শাহবাগ মোড়ে এই বিক্ষোভের সূচনা করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ আন্দোলনে যোগ দেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় মহাসমাবেশ। এতে যোগ দেয় লাখো জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আপলোড, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৩