স্বামীকে হারিয়ে ভালবাসা দিবসের সন্ধান পেলেন জেবুন্নেসা

0
144
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা,(১৪ ফেব্রুয়ারী) : স্বামীকে হারিয়ে আশি বছর বয়স পার করে এসে জেবুন্নেসা পেলেন ভালবাসা দিবসের সন্ধান। ভাল লেগেছে তার।

নাতি-নাতনিদের সঙ্গে হাসি-খুশিতেই কাটছে দিনটি। সকালে ফুলেল শুভেচ্ছা আর কেক কাটার আনন্দ সঞ্চয় হয়ে থাকবে বাকি জীবনের স্মৃতি হিসেবে।

আশি বছর বয়সেও সুস্থ আছেন জেবুন্নেসা। বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে নামেন না তিনি। সকাল থেকে নাতি-নাতনিদের অনুরোধ আর জোরাজুরিতে বাসা থেকে মোহাম্মদপুরের রাস্তায় নামেন। মোহাম্মদী হাউজিং লিমিটেডের ৮ নম্বর রোডে বাসার নিচে দাদিকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে কেক কাটার আয়োজন করে দুই নাতি রনি আর ফয়সাল।  

খোলা রাস্তায় টেবিলের সামনে দাদি তার নাতি-নাতনিদের নিয়ে বসে আছেন। আর সামনের চেয়ারগুলোতে আত্মীয়-স্বজন ও মহল্লার লোকজন বসে আছেন। এক পর্যায়ে ফুলের শুভেচ্ছা, তারপর কেক কাটার মধ্য দিয়েই আনন্দ আয়োজন। এ যেন অন্যরকম ভালবাসা।

দশ নাতি-নাতনি ছাড়াও মহল্লার লোকজনও জড়ো করা হয়েছে বৃদ্ধ জেবুন্নেসাকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে। শিশুরাও আনন্দে যোগ দিয়েছে এ অনুষ্ঠানে। ব্যাতিক্রমী এ ভালবাসা দিবসের সংক্ষিপ্ত আয়োজনে উৎফুল্ল সবাই।

জেবুন্নেসার বড় ছেলে আব্দুর রফিক খানের ছেলে আসিফ খান রনি জানান, ভালবাসা দিবসে আমরা দাদিকে শুভেচ্ছা জানাতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সারাদিন দাদিকে নিয়েই কাটাবো। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দিনটি কাটাতে চাই।

জেবুন্নেসার মেঝ ছেলে ফেরদৌস খানের বড় ছেলে ফয়সাল খান জানান, গতানুগতিক ভালবাসা দিবসের আয়োজন থেকে ভিন্নতা আনতে এটি করা হয়েছে। বড়দের সম্মান করা এবং ছোটদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক দৃঢ় করার শিক্ষা হিসেবেই আয়োজনটির গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   

ভালবাসা দিবসে জেবুন্নেসার হাসি মুগ্ধ করেছে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রতিবেশীদের।

তাদের অনেকেই বলছেন, ‘দাঁত না থাকলেও বৃদ্ধার হাসিটি বেশ সুন্দর। বুড়ো বয়সে অন্তত ভালবাসা দিবসের স্বাদ পেলেন।’

জেবুন্নেসা জানালেন, দুই নাতি ভালবাসা দিবসে আমাকে কেক খাওয়াবে। মহল্লার অনেকে আসবে আমাকে দেখতে। তাদের জোরাজুরিতে এসেছি। ভাল লাগছে।

নাতি রনি জানালেন, দাদা মারা যাওয়ার পর তারা সবাই দাদিকে নিয়ে বিশেষ দিনগুলো আনন্দে কাটাই। শেষ সময়েও পাশে থাকবো দাদির।

নিউজরুম

শেয়ার করুন