স্পোর্টস ডেস্ক(১৪ ফেব্রুয়ারী): পিএসজি ২: ১ ভ্যালেন্সিয়া
জুভেন্টাস ৩: ০ সেলটিক
আন্তোনিও কন্তের নামের পাশে একটা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জ্বলজ্বল করছে।অথচ সেখানে থাকতে পারত আরও তিনটি শিরোপা। ১৯৯৭, ১৯৯৮ ও ২০০৩ সালে ফাইনালে উঠেও, নিঃশ্বাস-দূরত্বে থেকেও ইউরোপ-সেরার ট্রফিটা ছুঁতে পারেননি। পাওয়ার চেয়ে তাই না-পাওয়ার যন্ত্রণাই বেশি কন্তের। এত কাছে এসে ফিরে যাওয়ার টাটকা সব অভিজ্ঞতা আছে বলেই সেদিনের খেলোয়াড় আজ কোচের দায়িত্বে এসেও সতর্ক।সাবধানী। সেল্টিককে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা রেখেও জুভেন্টাস কোচ তাই আনন্দে উদ্বেলিত নন।
শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখার তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত পিএসজিও।ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ২-০ গোলে জেতাটা শেষ আট প্রায় নিশ্চিত করে দিত হয়তো।কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে একটা গোল খেয়ে জয়ের আকারটা মনমতো হয়নি কার্লো আনচেলত্তির। তার ওপর যোগ করা সময়ে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের লাল কার্ড বাড়তি দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পিএসজি কোচকে। ফিরতি লেগে দারুণ ফর্মে থাকা ইব্রাকে পাচ্ছে না প্যারিসের ক্লাবটি। পরশু অবশ্য ইব্রা কোনো গোল করেননি।পিএসজির দুটি গোলই দুই আর্জেন্টাইনের। ১০ মিনিটে এজেকুয়েল লাভেজ্জির পর ৪৩ মিনিটে গোল করেন হাভিয়ের পাস্তোরে। ৯০ মিনিটে ফ্রান্সেরই ফুটবলার আদিল রামি ১ গোল করে পিএসজিকে নির্ভার থাকতে দিলেন না।
যদিও পরিসংখ্যান বলছে, ২-১ গোলের এই জয়টাও আনচেলত্তির দলের জন্য অনেক বড় পাওয়া। কারণ এর আগে ফরাসি প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের মাঠে আট ম্যাচের সবগুলোই জিতেছিল ভ্যালেন্সিয়া। মেস্তাল্লায় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম হারলও। মাঝখানে অপরাজিত ছিল নয়টি ম্যাচে। গত চার মৌসুমে শুধু খেলোয়াড় কিনতেই ২৫ কোটি ইউরো বিনিয়োগের ফসল পেতে শুরু করেছে পিএসজি। অন্যদিকে ডেভিড ভিয়া, ডেভিড সিলভা, হুয়ান মাতাদের মতো একের পর এক তারকা বিক্রি করে দেওয়ার ফলটাও হাতে নাতে পাচ্ছে ভ্যালেন্সিয়া। যদিও দলের কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে বলছেন, ‘শেষ মুহূর্তে আমরা একটা গোল করতে পেরেছি। তার মানে এখনো আমাদের ভালো সুযোগ আছে। তবে আমাদের এই তথ্যও মাথায় রাখতে হবে, ওদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে।’
শেষ মুহূর্তের গোলের চেয়ে শেষ মুহূর্তের লাল কার্ডই বেশি পোড়াচ্ছে আনচেলত্তিকে। পিএসজি কোচ বলেছেন, ‘এই লাল কার্ড ইব্রার প্রাপ্য ছিল না। এ সিদ্ধান্তের যুক্তিটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।’ আনচেলত্তি বরং সাবধানী, ‘মাত্রই প্রথম লেগ গেল। এখনো ফিরতি লেগ বাকি আছে।’ আসলে ১৯৯৫ সালের পর এই প্রথম নকআউট পর্বে খেলছে পিএসজি। যতই খেলোয়াড় কিনে দলের খোলনলচে পাল্টে ফেলা হোক, ক্লাবের ঐতিহ্যও এ ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক বড় ব্যাপার।
রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে নাখোশ সেল্টিক কোচ নিল লেননও। অবশ্য তাঁকে বেশি পোড়াচ্ছে সুযোগ কাজে লাগাতে না-পারা। ৩ মিনিটেই আলেসান্দ্রো মাত্রির গোলে জুভরা এগিয়ে গেলেও সেল্টিক একের পর এক সুযোগ তৈরি করছিল। ভালোও খেলছিল।কিন্তু ৭৭ ও ৮৩ মিনিটে ক্লদিও মার্কিসিও আর মির্কো ভুচিনিচের গোল পাল্টে দিল সব। লেনন যেন হয়ে গেলেন দার্শনিক, ‘এটাই ফুটবলের রূঢ় বাস্তবতা। আমরা ৭০-৮০ মিনিট পর্যন্ত ভালো খেলেও ৩-০ গোলে হারলাম!’ এএফপি, রয়টার্স।
নিউজরুম