১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: এসেছে বসন্ত। এখন ফাগুন মাস। ফাগুনের মোহনায় নোঙর করেছে ভালোবাসা দিবস।ভালোবাসা মধুর, ভালোবাসা যাতনাময়। তবু সবাই ভালোবাসার কাঙাল। তারকারাজানাচ্ছেন তাঁদের প্রথম ভালোবাসার রঙিন স্মৃতি
কনা
আমি তখনমগবাজার গার্লস স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ি। থাকতাম ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায়।তখন প্রথমবারের মতো একটি ছেলের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব আসে। নীল রঙেরএকটি কার্ডের মধ্যে সোনালি রঙের কলম দিয়ে সে আমার একটি ছবি এঁকে ও কবিতালিখে আমাদের বাসায় পাঠায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছবি ও কবিতাটি পড়ে বাবার হাতে।বাবা ছবি ও কবিতা—দুটোই আমার কাছে দিয়ে দেন। এগুলো হাতে পাওয়ার পর ছেলেটিসম্পর্কে আমার আগ্রহ জন্মায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, সে আমাদের এলাকায়ইথাকে। আমার জীবনে ক্লাস নাইনে এই প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া একটি স্মরণীয়ঘটনা।
ইমন
আমার বন্ধুরা আমাকে লাজুক হিসেবে জানত। স্কুলের গণ্ডিপেরিয়ে তখন কলেজে উঠেছি। সিটি কলেজে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হই। মগবাজারেহিসাববিজ্ঞান প্রাইভেট পড়তাম। ছেলেমেয়ে একসঙ্গে পড়তাম। স্যারের বাসায়ই একটামেয়েকে আমার ভালো লাগে। কিন্তু লাজুক স্বভাবের কারণে সাহস করে বলতে পারতামনা। আমি একটি কৌশল অবলম্বন করি। ইচ্ছা করেই আমি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময়কলম নিতাম না। প্রতিদিনই সে আমাকে কলম দিত। একদিন খাতা নিতে ভুলে গেলাম।এরপর সে আমাকে খাতাও দেয়। খাতার ভেতর একটি চিঠি লিখে দেয়। তখন জানতেপারলাম, সেও আমাকে ভালোবাসে। তার কাছ থেকে চিঠিটি পাওয়ার পর আমি বেশনার্ভাস হয়ে যাই। এরপর আর কোনো দিন তার দিকে তাকাইনি। এমনকি প্রেমের এইচিঠি পাওয়ার পর থেকে আমি খাতা আর কলম নিতে কখনো ভুলিনি।
শুনেছি মেয়েদেরকেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা মা-বাবার কাছে বলে দেয়। আমার সে রকম কিছুহয়নি, কিন্তু বাসার সবার ভয়ে আমি প্রায়ই বাথরুমে বসে সেই মেয়েটির প্রেমেরচিঠিটি পড়তাম। আর মনে মনে খুব হাসতাম।
শখ
প্রেম বোঝার মতো বয়সহওয়ার আগেই আমার জীবনে প্রেমের প্রস্তাব আসে। তখন আমি পুরান ঢাকারগেন্ডারিয়া হাইস্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ি। স্কুলের সেকেন্ড বেঞ্চে বসতাম। এটিআমাদের কয়েকজন বান্ধবীর দখলেই ছিল। স্কুলে পড়ার সময় নানা ধরনের স্টিকারসংগ্রহ করতাম। একদিন সকালে স্কুলে এসে দেখি, আমার বেঞ্চে আমারই পছন্দেরবিভিন্ন ধরনের স্টিকার, ফুল ও একটি চিঠি। চিঠিটি খুলে দেখি, সেখানে আমাকেনিয়ে ভালোবাসার নানা কথা। চিঠিটি পড়ে ভয় পেয়ে গেলাম। চিঠির মানুষটি পুরোপরিচয় না দিলেও একটা লিংক দিয়ে দেয়। তারপর আমার অন্য বন্ধুদের বিষয়টি বলারপর তারা ওই ছেলেটার খোঁজ নিতে শুরু করে। পরে জানা গেল, ছেলেটি আর কেউ নয়, আমারই ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীর বড় ভাই।