১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩:জামায়াত-শিবিরচক্র প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ে হামলা। সম্পাদক মতিউর রহমান আহতহয়েছেন। এর ঘন্টা খানেক আগে জামায়াত পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।দফায় দফায় টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, বিস্ফোরিত ককটেলে রাজধানী রণক্ষেত্রপরিণত। সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে দিগবিদিক ছুটছে। ছড়িয়ে পড়েছে আতংক।
এদিকদুপুর দেড়টার দিকে কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো অফিসের সামনে থেকে জামায়াতশিবিরের কর্মীরা মিছিল শুরু করে পান্থপথের দিকে যায়। এ সময় পুলিশ এবংস্থানীয় ব্যবসায়ীসহ জনতা তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময়মিছিলকারীদের মাঝখানে পড়ে গেলে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আহত হন। তিনিএ প্রফেসর আনিসুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে পত্রিকা অফিস থেকে নামছিলেন।
প্রথমআলোর উপ সম্পাদক আনিসুল হক জানিয়েছেন, শিবির তাকে আক্রমণ করেনি। মিছিলেরমধ্য পড়ে তিনি রাবার বুলেট বিদ্ধ বা কাঁচের টুকরো এসে হাতে লাগতে পারে।তবে তিনি আহত হলেও ভালো আছেন।সেখান থেকে ৪ জামায়াত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন শিবির কর্মীকে আটক করেছে।
আমাদেরস্টাফ রিপোর্টারা জানিয়েছেন, রাজধানীর নটরডেম কলেজের সামনে, শাপলা চত্বর, আরামবাগ, ফকিরপুল কালর্ভাট রোড, দৈনিক বাংলা মোডসহ আশে পাশের গলি থেকেজামায়াত শিবির কর্মীরা হঠাত করে বের হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত গলিরমধ্যে জনতার সাথে মিশে যাচ্ছে।
জবাবে পুলিশ্ও ২৫ রাউন্ড রাবারবুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে। বসুন্ধরা সিটির সামনে একজন পুলিশ গুলিবিদ্ধহয়েছে। সেখান থেকে ৭ জামায়াত শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
টায়ারজালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় নটরডেম কলেজের সামনে থেকে এক শিবির কর্মীকে আটককরেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। নটরডেম কলেজের সামনে বাস ভাংচুর করা হয়েছে। এখনপর্যন্ত ১৯ জন কে আটক করা হয়েছে।
নিউজরুম