শিক্ষা ডেস্ক(১২ ফেব্রুয়ারী): নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পূর্বঅম্বরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ স্কুলঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেখানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই।এলাকাবাসী স্কুলটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ১৯৯৫ সালে দুই কক্ষবিশিষ্ট দেয়াল ঘেরা টিনের ছানির ভবনটির উপরের সবটিন প্রায় মরিচা পড়ে জরাজীর্ণ ও ছিদ্র হয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্থানের টিন ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এতে বৃষ্টি এলে অনায়াসে পানি পড়ে। কাঠের দরজা জানালাগুলো পোকায় ধরে ভেঙে পড়ার অবস্থা। ফ্লোরটাও স্যাঁতস্যাঁতে। স্কুলটির আশপাশের পরিবেশও মারাত্মক দূষিত। ২০০৬ সালে দুই কক্ষবিশিষ্ট আরেকটি ভবন নির্মিত হলেও বর্তমানে ১২৪ জন ছাত্রী ও ১০৭ জন ছাত্রসহ মোট ২৩১ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষার পরিবেশ ও মানোন্নয়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। পুরনো অফিস কক্ষ ভেঙে পড়ার উপক্রম হলে নতুন ভবনের এক কক্ষের এক পাশে দাফতরিক কাজ, আরেক পাশে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়টির চারটি কক্ষের দুটি কক্ষই বর্তমানে পড়ালেখা ও দাফতরিক কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সঙ্কটও রয়েছে। ৬ জন শিক্ষক। এরমধ্যে একজন প্রশিক্ষণে, আরেক জন ডেপুটেশনে রয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদাউস আক্তার জানান, বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অম্বরনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহজানান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে অম্বরনগরের স্কুলটির এই অবস্থা মেনে নিতে পারছি না। এতকিছুর পরও বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা বেগমের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। সহসা স্কুলটির সমস্যা সমাধানে প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।
নিউজরুম