আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(১২ ফেব্রুয়ারী): পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান হুশিয়ার করে বলেছেন, যদি কোনো ধরনের ভোট কেনার চেষ্টা করা হয় তাহলে রক্তক্ষয়ী বিপ্লব শুরু হয়ে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন পিটিআইর বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে। তবে তারা তার পার্টিকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখতে পারবে না। রোববার বেশ কয়েকটি গণসমাবেশে ইমরান খান বলেন, পিপিপি ও পিএমএল-এন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) ফকরুদ্দিন জি ইব্রাহিমকে আমি শ্রদ্ধা করি। তবে তার অধীনস্থরা রাজনৈতিক নিয়োগ পেয়েছেন। তাই নির্বাচন অবাধ ও মুক্ত করতে চাইলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করতে হবে।লাহোরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী যে মেট্রোবাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ক্ষুদ্র প্রকল্পে ৮ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হবে।নির্বাচনের আগে এ ধরনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের কাজে হাত দেয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ভোট পাওয়ার জন্য। পিটিআই প্রধান বলেন, এ ধরনের বিশাল তহবিল দিয়ে দেশের অর্ধেক ছাত্রছাত্রীর বিনাবেতনে উচ্চশিক্ষা দেয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, পাঞ্জাবে বিক্ষোভরত চিকিত্সকদের লাঠিপেটা করা হয়েছে। প্রাদেশিক সরকার তাদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রদেশে চিকিত্সা ব্যবস্থায় মারাত্মক অব্যবস্থার প্রতিবাদ জানান তিনি। এখানে তিন রোগীর জন্য একটি বিছানা। এমআরআই মেশিন ও ভেন্টিলেটর বছরের পর বছর ধরে নষ্ট থাকার প্রতিবাদে তাদের এ বিক্ষোভ। পাঞ্জাবে ভেজাল ওষুধ খেয়ে শত শত লোক মারা গেলেও শাহবাজ শরিফের নড়চড় নেই। তিনি মানুষের জীবনের চেয়ে সড়ক প্রকল্প নিয়ে বেশি ব্যস্ত।ইমরান খান আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট জারদারি লাহারে বিলাসবহুল প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন। এ টাকা কোথা থেকে তিনি পেলেন। পিপিপি সরকার গত পাঁচ বছরে সরকারি তহবিল থেকে লুট করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারকে তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে দেয়া উচিত। তবে পিপিপি সরকার জনগণকে দিয়েছে কেবল ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাস, মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি ও দাসত্ব।
নিউজরুম