১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: নকল এবং ভেজাল ওষুধ
চিকিৎসা অন্যতম মৌলিক চাহিদা। সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসার প্রয়োজনে ওষুধ সেবন অপরিহার্য। কিন্তু সেই ওষুধ যদি হয় ভেজাল অথবা নকল, তাহলে স্বাস্থ্যের কী পরিণতি হয় তা বলাই বাহুল্য।
বাংলাদেশে ওষুধশিল্প দেশে-বিদেশে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে হতাশাব্যঞ্জক সংবাদ হলো, নকল এবং ভেজাল ওষুধে বাজার ছেয়ে গেছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নকল এবং ভেজাল ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। নকল এবং ভেজাল ওষুধ ব্যবহার করে আরোগ্য লাভ তো দূরের কথা, শরীরে উল্টো বিক্রিয়া হচ্ছে। অসাধু কিছু লোক বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির ওষুধ নকল করে বাজারজাত করছে।
নকল এবং ভেজাল ওষুধ তৈরি বন্ধ করার জন্য আইনের সংশোধনী প্রয়োজন। বর্তমানে প্রচলিত আইনে এই অবৈধ কাজ বন্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া এই অনৈতিক এবং অবৈধ কাজের প্রতিরোধের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কার্যকরভাবে তৎপর হতে হবে।
অতএব সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাহতাব আলী
বাইশটেক, মিরপুর-১৩, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি
মুক্তিযোদ্ধাদের সভা-সমাবেশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন তো দূরের কথা, বরং অনেক দুঃখ-কষ্ট ও লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। আপনি ১৯৯৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০০ টাকা মাসিক ভাতা, মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা, সন্তানদের লেখাপড়া ও চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই এখন মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক দুই হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা পান এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হচ্ছে। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের লেখাপড়া ও চাকরিতে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এমনকি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক-কর্মচারীদের দুই বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর ও বিচারপতিদের ৬৭ বছর করা হয়েছে, যা শুধু আপনার সরকারের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। অথচ আমরা যারা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আছি, সংখ্যায় কম হলেও আমাদের চাকরির বয়স এখন পর্যন্ত ৬০ বছরই রয়ে গেছে।
এমনিতেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন স্কেল ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই।
এ অবস্থায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রাণের দাবি, চাকরির মেয়াদ ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীতকরণ যেন আপনার সরকার দ্বারা শিগগিরই বাস্তবায়িত হয়, তার সুব্যবস্থা করার জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ জানাই।
মো. আজিজুর রহমান
সহকারী অধ্যাপক, সেতাবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর।