স্পোর্টস ডেস্ক(১২ ফেব্রুয়ারী): ভুবনেশ্বর কুমারের স্বপ্নটা সত্যি হতে যাচ্ছে। এমন হতে পারে, ২২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকেই শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করবেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তো গত বছরের এশিয়া কাপের পর থেকেই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই।আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে না বলেছেন কয়েক বছর আগে, গত ডিসেম্বরে বিদায় দিয়েছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটকেও। এর পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ভারতের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলা ভুবনেশ্বরের তাই টেন্ডুলকারকে পাওয়ার উপায় ছিল না ড্রেসিংরুমে। অপেক্ষাটা বেশি দিন করতে হচ্ছে না মিরাট থেকে উঠে আসা এই পেস বোলারকে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন, টেন্ডুলকারের সহ-খেলোয়াড় হওয়াটা তাই শুধু ক্ষণগণনার ব্যাপার। টেন্ডুলকারের গুণমুগ্ধ।কিন্তু এর আগে তাঁর বড় পরিচয় ছিল ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে লিটল মাস্টারকে একমাত্র শূন্য উপহার দেওয়া বোলার। ভুবনেশ্বর টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর টেন্ডুলকারের কথা ভেবেই উচ্ছ্বসিত, ‘শচীন পাজির সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করতে পারাটা হবে সম্মানের। সে এই খেলাটার এক কিংবদন্তি। অবশ্যই আমি খুশি, খুশি আমার পরিবারও। টেস্ট দলে নির্বাচিত হওয়াটা আমার জীবনের বড় এক ঘটনা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা হয়েছে দারুণ। দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ে পাকিস্তানি ও ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন যথেষ্টই। এবার টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন ভুবনেও নিজেকে চেনাতে চান ভুবনেশ্বর।
একেকটা করে সিঁড়ি ভেঙে ভুবনেশ্বর ওপরে উঠছেন। কিন্তু টেস্ট দলে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া শিখর ধাওয়ানের গল্পটা অন্য রকম। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে ঢুকতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়।২০১০ সালে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েও দলে জায়গা পাকা করতে পারেননি। দুই দফায় খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫টি ওয়ানডে। তবে এতে আক্ষেপ নেই ভাগ্যে বিশ্বাসী এই ক্রিকেটারের, ‘সবকিছুরই একটা সময় আছে। আমি মনে করি, এটা (দলে ডাক পাওয়া) আমার জন্য ঠিক সময়েই এসেছে। আগের বছরগুলোয় ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে আমি পরিণত হয়েছি। আমি এখন আমার খেলাটা বেশ ভালো বুঝি।’
ভুবনেশ্বর, ধাওয়ানরা নতুন।ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেই বাদ পড়া পুরোনো সৈনিক হরভজন ফিরেছেন দলে। যে দলের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচেই ৯০ উইকেট, সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হরভজন না থাকলেই সেটাই হতো খবর। ৯৯ টেস্ট খেলা এই অফ স্পিনার প্রিয় প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়ে রোমাঞ্চিত, ‘প্রিয় দলের বিপক্ষে বোলিং করার জন্য আমার আর তর সইছে না। নির্বাচিত হওয়ার পর যেন বিশাল এক বোঝা নেমে গেল। ফিরে আসাটা সব সময়ই কঠিন। এটা আমার জন্য নতুন এক সুযোগ।’ ওয়েবসাইট।
নিউজরুম