সংশোধিত ট্রাইব্যুনাল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

0
502
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা, (১১ফেব্রুয়ারী): একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ সংশোধনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
খসড়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষ ও রায়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরও আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এর মাধ্যমে আপিল করার বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমতা আসবে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এর পর থেকে বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে লাগাতার আন্দোলন করছে। এ কর্মসূচিতে প্রতিদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিচ্ছেন। রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। এ পরিস্থিতির মধ্যে আইনটি সংশোধন করে খসড়া তৈরি করা হয়।
গতকাল আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদনের পেলে এ সপ্তাহের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাজ শেষে প্রস্তাবটি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপন করা হবে। তিনি আশা করেন, এই অধিবেশনেই এটি পাস হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রস্তাবে আইনের ২১(২) ধারায় ‘সরকার’ শব্দের পর ‘অথবা যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি’ ও খালাস শব্দের সঙ্গে ‘অপর্যাপ্ত দণ্ড’ এবং ২১(৩) ধারায় দণ্ডের সঙ্গেও ‘অপর্যাপ্ত দণ্ড’ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, আসামি যে অভিযোগ থেকে খালাস পাবেন, কেবল ওই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধেই সরকার আপিল করতে পারবে। আইনটি সংশোধন হলে পুরো রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল করা যাবে।

নিউজরুম

শেয়ার করুন