শিক্ষা ডেস্ক(১১ ফেব্রুয়ারী): পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে ভোটকেন্দ্র, ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে ভোট দিচ্ছে, প্রার্থীরা শেষবারের মতো তাকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা রয়েছে পুলিশ। একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যা দরকার, সবই করা হয়েছে।
তবে এটি রাজনৈতিক কোনো নির্বাচনের চিত্র নয়।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খুদে নেতা নির্বাচনই এর লক্ষ্য। প্রার্থীরা সবাই তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ভোটারও একই শ্রেণীর। ভোট গ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও শিক্ষার্থী।
ফরিদপুর সদর উপজেলার মোমিনখার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, শিশুদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টি করতেই এ নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে শুরু করে ভোট গণনা, ফল প্রকাশ—সবই ওরা করেছে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়েছে। কেশবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১৬ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাতজন নেতা নির্বাচন করে। ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রার্থী পঞ্চম শ্রেণীর আর মাহিম বলে, ‘আমি ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছি। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
নিউজরুম