আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(১১ ফেব্রুয়ারী): যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কাল মঙ্গলবার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দেবেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর সরকারের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের একটি রূপরেখা তুলে ধরা হবে এই ভাষণে। বেকারত্ব হ্রাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এই ভাষণে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও অভিবাসন সংস্কারের পক্ষে মার্কিনদের সমর্থন চাইবেন ওবামা।
কাল রাতে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের এক যৌথ অধিবেশনে এ ভাষণ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই ভাষণে ২০১৪ সাল নাগাদ আফগান যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে পরবর্তী পদক্ষেপেরও ঘোষণা আসতে পারে।
গত ২১ জানুয়ারি ওবামা তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের উদ্বোধনী ভাষণ দেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে দিচ্ছেন স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ। উভয় ভাষণের একটি অপরটির সম্পূরক বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী ভাষণে যেসব পদক্ষেপ ও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে, এই ভাষণে সেসবের পক্ষে নিজের ও দলের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরবেন ওবামা। পাশাপাশি মার্কিনদের সমর্থন চাইবেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন ওবামা। সেখানে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণের একটা খসড়া তুলে ধরেন তিনি।
ওবামা বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন, জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও বয়স্কদের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে বাজেট ঘাটতি কমানোর বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করণীয় নিয়েও একটি প্রস্তাবনা থাকতে পারে।
ডেমোক্র্যাটরা এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও রিপাবলিকানদের কাছ থেকে বিরোধিতা আসা প্রায় নিশ্চিত। বাজেট ঘাটতির পরিকল্পনা নিয়ে দুই শিবির ইতিমধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে।রিপাবলিকানরা ব্যয় সংকোচনের পক্ষে; কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা ব্যয় সংকোচনের পাশাপাশি কর বৃদ্ধিতেও সোচ্চার।
ওবামা বলেন, ‘মন্দার পর কষ্টার্জিত অর্থনৈতিক সাফল্য কিছু দিন পরপর যেন হুমকির সম্মুখীন হয়, সে জন্য আমরা বড় কিছু পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি। আমি যেমন এর জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে আছি, পাশাপাশি উদ্বিগ্নও।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বাজেট ঘাটতি ও কর বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলব। কিন্তু আমরা যা কিছুই করি না কেন, এই দেশে যারা কঠোর পরিশ্রম করছে, তাদের কথা ভেবেই করব। একজন পুলিশ, শিক্ষক বা নির্মাণশ্রমিক কঠোর পরিশ্রমের পরও কিছুই পেলেন না, সে রকম কিছুই করা হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠলেও এখনো মাঝেমধ্যে তা হুমকির মুখে পড়ে। ২০১২ সালের শেষ ভাগে দেশটির জিডিপির হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। আর বেকারত্বও ছিল উদ্বেগজনক। ওই সময় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মার্কিন বেকার জীবন কাটিয়েছে। এএফপি ও হাফিংটন পোস্ট।
নিউজরুম