চট্টগ্রাম,(১১ ফেব্রুয়ারী) : কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাস নদীতে পড়ার ঘটনায় আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় রোববার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৮ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, একই ঘটনায় আহত আরও ১৭ যাত্রীকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে সকাল সাড়ে আটটায়, নয়জনকে দশটায় এবং শেষ পাঁচজনকে বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম(২৬), মো. হাসান (২৭), সালেহা বেগম(৪৫), মো. আলী (৫০), মো. আজুয়াত আজমত(৩৫), হাফিজ উদ্দিন (৪৫), তুষার(২৫),মো. হানিফ(৩৫), লতিফা বেগম (৩৫), লাল মিয়া (৬৫), মো. হালিম (৩৫), আব্দুর রহমান (৪৫), সাইদুর রহমান (৪০), আব্দুর রউফ (৪২) ও সবুজ (২৫)। দুই জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, চকরিয়ার বাস দুর্ঘটনায় আহত ১৮ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ভর্তি করানোর কিছুক্ষণ পরই একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ৮-৯ যাত্রীর অবস্থা গুরুতর।
তারা বর্তমানে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. আজমত বলেন,`আমরা শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়িস্থ হযরত মইনুদ্দিন আহমেদের ওরশ শরীফে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে গাজীপুরের নোয়াবাঁগ থেকে এসেছিলাম। শনিবার ওখানে অবস্থান করে রোববার রাত দেড়টার দিকে সেখান থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিই। রাত চারটার দিকে চকরিয়ায় বাসটি রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায়।`
সোমবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার চিরিঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানান স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা।
নিউজরুম