১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন কাদের মোল্লাসহ দেশের পুরোনো ও নব্য রাজাকাররা। কিন্তু সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায়কে পছন্দ করলেও প্রহসনমূলক এই রায় মেনে নেয়নি জনগণ। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরো দেশ।রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগ চত্বরে জড়ো হয়ে রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে শাহবাগ এলাকা পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে।প্রতিদিনই বাড়ছে সেই সমুদ্রের ঢেউ। এই রায়ে হতাশ হয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদও। অনেক দিন ধরেই রাজাকারের ফাঁসি কার্যকর করার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় তাঁর সেই স্বপ্ন এখন হুমকির মুখে। তবে জেলখানায় বোধ হয় আরামেই আছেন কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লা। তাই অনেকেই দাবি তুলেছেন, কাদের মোল্লাকে যেন টিভি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। শাহবাগের প্রতিবাদ প্রায় সব চ্যানেলেই একটু পর পর লাইভ দেখাচ্ছে।টিভি দেখলে ‘ক তে কাদের মোল্লা—তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’ কিংবা ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই’ এই স্লোগানগুলো বুঝতে সুবিধা হবে কাদের মোল্লার। হয়তো লজ্জায় নিজেই ফাঁসির দড়ির অর্ডার দেওয়ার কথা ভাববেন তিনি। তবে সমস্যা হলো, রাজাকারদের টাকা, পয়সা, ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠান, টিভি-পত্রিকা থাকলেও লজ্জা নেই। যাই হোক, প্রহসনমূলক এই রায় যে জনগণ মেনে নেয়নি, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।তাই ত্যক্ত হয়ে শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণ-জনতা ঘোষণা দিয়েছে, ‘কাদের মোল্লা সম্পূর্ণ নির্দোষ, তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে শাহবাগ মোড়ে চা খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। বাকিটা আমরা বুঝব।’ কর্তৃপক্ষের উচিত জনগণের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ছাত্র-জনতা কিন্তু ‘পক্ষ নিলে রক্ষা নাই’ স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ।