স্পোর্টস ডেস্ক(১১ ফেব্রুয়ারী): অ্যালেক্সিস সানচেজ, লিওনেল মেসি, ডেভিড ভিয়া, ক্রিস্টিয়ান তেয়ো, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্ড পিকে…না, একাদশের কথা বলা হচ্ছে না। এতক্ষণ যে লম্বা তালিকাটা পড়লেন, সেটা গোলদাতাদের নাম! গোল আরও একজন করেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের বলে তাঁর নামটি ইচ্ছা করেই বাদ দেওয়া। একই ম্যাচে একই দলের ছয়জনের গোল করার অর্থ কী সহজেই অনুমেয়—গেটাফেকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে বার্সেলোনা জিতেছে ৬-১ গোলে। ওপরের তালিকাটাই বলে দিচ্ছে বার্সার গোল ছয়টি ভিন্ন ছয়জনের, যা বিরল ঘটনাই বটে। ভিন্ন ছয়জনকে গোল করতে দেখে বার্সার সহকারী কোচ নিজেও কিছুটা বিস্মিত, ‘বিস্ময়করই বটে। কিন্তু ভিন্ন ছয়জনের ৬ গোল করাটা ইতিবাচকও।’
সেভিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতিটা সেরে রেখেছে দারুণভাবে। বার্সেলোনার অবশ্য সে রকম কোনো ব্যাপার ছিল না। কারণ এসি মিলানের সঙ্গে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি হবে আগামী সপ্তাহে। অবশ্য রিয়ালকে জবাব দেওয়ার তাড়না নিশ্চয়ই ছিল! বার্সেলোনা সেই জবাবটা দিল আরও বড় জয় দিয়ে। তবে রোনালদোর হ্যাটট্রিকের জবাবে মেসি করেছেন ১ গোল।
চোট জাভিকে খেলতে দেয়নি। তার ওপর বার্সার ভারপ্রাপ্ত কোচ জর্ডি রৌরা আবার বিশ্রাম দিতে ফ্যাব্রিগাস, সার্জিও বুসকেটস, মাচেরানো, দানি আলভেজ, পেদ্রোদের রেখেছিলেন একাদশের বাইরে। কিন্তু সেটা বুঝতেই দেননি সানচেজ-মেসিরা। ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যেই গেটাফেকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন সানচেজ ও মেসি। ইনিয়েস্তার পাসে ৬ মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দেন সানচেজ। ১৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। এটা নিয়ে লিগে গোল করলেন টানা ১৩ ম্যাচে। যেটা লিগে তাঁর ৩৫তম এবং মৌসুমে ৪৬তম গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ভিয়া, তেয়ো, ইনিয়েস্তার পর পিকে গোল করেছেন যোগ করা সময়ে। গেটাফের সান্ত্বনার গোলটি করেছেন আলভেরো। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সা। রিয়ালের সঙ্গে ধরে রাখল ১৬ পয়েন্টের ব্যবধানই। এএফপি, রয়টার্স।
নিউজরুম