স্পোর্টস ডেস্ক(১১ ফেব্রুয়ারী): বুরকিনা ফাসোকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো আফ্রিকান নেশনস কাপ জিতেছে নাইজেরিয়া। দলের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেছেন স্ট্রাইকার সানডে মেবা।এই জয় দিয়ে আফ্রিকান ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়েছেন নাইজেরিয়ার কোচ স্টিফেন কেশি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই নেশনস কাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
১৯৯৪ সালে শেষবারের মতো আফ্রিকান নেশনস কাপ শিরোপা জিতেছিল নাইজেরিয়া। সেসময় দলের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমান কোচ স্টিভেন কেশি। তাঁর আগে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে এই শিরোপা জয়ের কৃতিত্বটি এককভাবে ছিল মিসরের মোহামেদ এল গোরারির দখলে। ১৯৫৯ সালে খেলোয়াড় ও ১৯৯৮ সালে কোচ হিসেবে নেশনস কাপ জিতেছিলেন তিনি।
গত ২১ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করতে পারার আত্মবিশ্বাস নিয়ে গতকাল ফাইনালে মাঠে নেমেছিলেন বুরকিনা ফাসোর ফুটবলাররা। তবে শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইয়ে দাপটের সঙ্গে খেলেছে নাইজেরিয়া। ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই মাঠে বলের দখল ছিল নাইজেরিয়ার কাছে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে চমত্কার এক দৃষ্টিনন্দন গোল করে দলকে এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার সানডে মেবা।খেলায় সমতা ফেরানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন বুরকিনার উইলফ্রেড সানোউ।কিন্তু তাঁর এই গোল প্রচেষ্টা দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ভিনসেন্ট ইনায়েমা।
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে নেশনস কাপ শিরোপা জয়ের পাশাপাশি আরও একটি কীর্তি গড়েছেন নাইজেরিয়ার কোচ স্টিফেন কেশি। ১৯৯২ সালে আইভরি কোস্টের কোচ ইয়ো মার্টিয়ালের পর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন এই শিরোপা। তবে এই শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়েই সব কাজ শেষ হয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্টিফেন কেশি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘দেড় বছর আগে আমি যখন কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন নাইজেরিয়ার মানুষদের খুশি করার মতো পারফরমেন্স দেখাতে চেয়েছি। একটা শক্তিশালী দল গড়তে চেয়েছি। আর আমরা এখনো সেখানে পৌঁছাতে পারিনি। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।’ বিবিসি অনলাইন
নিউজরুম