রুপশী বাংলা ডেস্ক(১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩): রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের পৌনঃপুনিক ক্ষতির দিক বিবেচনায় নিয়ে কৃষিখাতকে বীমার আওতায় আনার বিষয় চিন্তা করতে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের এক নিত্য ঘটনা। এতে দেশের গোটা অর্থনীতি তিগ্রস্ত হয়।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে অধিকতর উৎপাদনশীল খাতে পরিণত করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের তি পুষিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় বীমা খাতকে নতুন পদপে নিতে হবে।এেেত্র সরকারি খাতে বীমা কোম্পানীগুলোকে অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে এই উদ্যোগ সফল করতে বেসরকারি খাতের বীমা কোম্পানীগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’
শেখ হাসিনা আজ হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘কৃষি ও ুদ্র বীমা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ভাষণকালে এ কথা বলেন।
তাঁর সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে কৃষিবীমা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে -একথা উল্লেখ করে তিনি এেেত্র বেসরকারি বীমা খাতগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। এছাড়া বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপরে এ্যাকচুয়ারি চেয়ারম্যান এম শফিক আহমেদ, আফ্রো-এশিয়ার বীমা ও পুনঃবীমা ফেডারেশনের মহাসচিব হাম্মাম বদর ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতকে বীমার আওতায় আনা হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং কৃষকরা ঋণের চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সম হবে।
তিনি সকল বীমা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দায়িত্বশীলতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে সরকার বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
শেখ হাসিনা বীমা কোম্পানীর সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সম্পৃক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বীমা খাতে অধিক আগ্রহ দেখিয়েছেন। কারণ এই খাতটি জীবন ও সম্পদের তির বিপরীতে নিরাপত্তার যোগান দেয় এবং পুঁজি ও বিনিয়োগের জন্য তহবিল সৃষ্টি করে।
বীমা শিল্পের নানাবিধ সুবিধার কথা বিবেচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে গুরুত্ব দিয়েছে।
নিউজরুম