আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(১০ ফেব্রুয়ারী):ঋণসংকট অবসানে মার্কিন সরকার যে ব্যয় সংকোচনের পথ বেছে নিয়েছে, সেটি সফল হবে না বলে মত দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ১ মার্চ থেকে দেশটিতে নতুন ব্যয় সংকোচননীতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। হাফিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, ক্লিনটন গতকাল শনিবার দেশটির কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের ঋণসংকটের সমাধানে বিকল্প পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রতিনিধিদের ককাসের সভায় বিল ক্লিনটন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যানের পরামর্শকে উদ্ধৃত করে ‘প্রচলিত কৃচ্ছ্রনীতির’ বিরোধিতা করেন।
ক্লিনটন বলেন, প্রচলিত কৃচ্ছ্রনীতি দিয়ে বর্তমান ঋণসংকটের সমাধান করা যাবে না। পল ক্রুগম্যান চলমান উদ্যোগগুলোর বিরোধিতা করে ঠিক কাজই করেছেন। প্রবৃদ্ধিহীনতার সময়ে যাঁরা ব্যয় সংকোচনের পথ বেছে নিয়েছেন, তাঁরা সরকারি ব্যয় না কমিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়াতে চাইছেন। কারণ, তাঁরা নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির দিকে চলছেন এবং এটা চলতে থাকলে দেশ আবারও মন্দার মধ্যে পড়বে।
ক্রুগম্যান সব সময়ই সরকারের ব্যয় সংকোচননীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। গতকাল টেলিভিশনে হাফ পোস্ট লাইভ নামের এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ক্রুগম্যান এ নীতির বিরোধিতা করে বলেন, এটি মানুষের ওপর অনৈতিক গবেষণা। তিনি আরও বলেন, ‘দেশগুলো ব্যয় সংকোচননীতির দিকে পড়িমরি করে ছুটছে, আর এসব নীতি অবলম্বন করে কী ফল হয়, তা আমরা সহজেই দেখতে পারছি।’
ক্লিনটন দীর্ঘদিন থেকে ব্যয় সংকোচনের প্রতিবাদ করছেন। গত বছরের মে মাসে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যয় সংকোচনের পরামর্শ মেনে যা করা হয়েছে, সেগুলো সাক্ষ্য দেয় যে এ নীতি অকার্যকর।’ গত জুন মাসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ক্লিনটন বলেছিলেন, ‘কোনো ব্যয় সংকোচনই বাজেটে ভারসাম্য আনবে না।’
ওবামা গত মঙ্গলবার আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া ব্যয় সংকোচননীতি কার্যকর হওয়ার সময় আরও কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান।
সামনের এক দশকে চার লাখ কোটি ডলারের ঘাটতি পূরণে কোনো নীতি গ্রহণ করা হবে, তা এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি সরকার ও কংগ্রেস।
ক্লিনটনের মতোই ওবামা ব্যয় সংকোচনের কুফল এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। হাফিংটন পোস্ট।
নিউজরুম