আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(০৯ ফেব্রুয়ারী): ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদ নেতা মোহাম্মদ আফজাল গুরুর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়ছে। ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার এক খবরে জানা গেছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আফজাল গুরু পার্লামেন্টে হামলার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন। ওই হামলার ঘটনায় পাঁচ জঙ্গিসহ ১৪ জন নিহত হয়।
আফজালের ফাঁসির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে, এ জন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারাগারের বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, আফজাল গুরু পেশায় একজন ফলবিক্রেতা ছিলেন। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়, এর পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন আফজাল গুরু। এতে পাঁচ জঙ্গি ও সংসদ ভবনের নয়জন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। পরে আফজাল গুরুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জি নিউজের খবরে বলা হয়, ২০০৪ সালে ভারতের একটি আদালত আফজাল গুরুর বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে ফাঁসির আদেশ দেন।আফজাল গুরুর পরিবার তাঁর প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে।রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ওই আবেদন নাকচ করেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের মুখপাত্র ভেনু রাজামনি আজ সকালে বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আফজাল গুরুর পরিবারের আবেদন খারিজ করেন রাষ্ট্রপতি।
নিউজরুম