নিয়োগে নানা অনিয়ম

0
159
Print Friendly, PDF & Email

শিক্ষা ডেস্ক(০৯ ফেব্রুয়ারী): জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতি করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম প্রহরী পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে উপজেলার ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছেএই পরীক্ষা আগামী তিন দিন পর্যন্ত চলবে
নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্যদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য রাখা হয়েছেপাশাপাশি প্রার্থীর সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখা হয়েছে অষ্টম শ্রেণী পাস
কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই পদে আবেদনকারী উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, উত্তম মুখার্জি, আমিনুল ইসলাম, সুমন দাস, আবুল বশার ও ইব্রাহিম মীর অভিযোগ করেছেন, গত ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে ওই পদে মো. লিটন খান নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে
কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বয়স ৩০ বছরের বেশি (জন্ম তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৭)তিনি কোনো বিদ্যালয়ে পড়ালেখাও করেননি
অথচ মো. লিটন খানকে কাছিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পাসের ভুয়া সনদপত্র দেওয়া হয়েছে
কাছিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, ওই নামের কাউকে তিনি অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ দেননি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, এই বিদ্যালয়ে দীর্ঘ নয় বছর ধরে মো. ইব্রাহিম মীর নামের একজন ২০০ টাকা বেতনে পিয়ন হিসেবে কাজ করে আসছেনঅথচ তাঁকে নিয়োগ না দিয়ে একজন বয়স্ক মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে
এ বিষয়ে মো. লিটন খান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর বয়স ভুল হয়েছেতা সংশোধন করা হয়েছেশিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি
জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতি করে উপজেলার বিলবিলাস-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্পূরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য নওমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ-প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছেএ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির একাধিক সভাপতি বলেন, পরীক্ষার আগেই ওপর মহল (স্থানীয় সাংসদ) প্রার্থী ঠিক করে দেনএখানে তাঁদের কোনো কিছু করার থাকে না
এ অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারদলীয় হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী যাঁরা ওই পদের জন্য যোগ্য তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে
ইউএনও এ বি এম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছিতবে জালিয়াতির সত্যতা পেলে ওই সব প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে না ব্যাপারে তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন