কৃষি ডেস্ক(০৯ ফেব্রুয়ারী): যশোরের ভবদহ অঞ্চলের বিল খুকশিয়ার সম্প্রতি বেঁধে দেওয়া বাঁধ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কে বা কারা কেটে দেয়।
কেশবপুর উপজেলার গোরসয়ালে অবস্থিত ওই বাঁধটি (বেঁধে দেওয়া কাটিং পয়েন্ট) কেটে হরি নদীর পানি বিলে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন।
এলাকার কৃষকেরা গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করে বাঁধটি পুনরায় বেঁধে দিয়েছেন।
কেশবপুরের সুফলাকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ বলেন, ‘ব্যাপারটি নাশকতামূলক। যে চক্রটি বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার চালু করতে বাধা দিচ্ছে, তারাই আমাদের সদ্য বেঁধে দেওয়া বাঁধ কেটে দিয়েছে। পরে আমরা বাঁধটি পুনরায় বেঁধে দিয়েছি।’
ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ২০০৬ সালের এপ্রিলে কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়ায় তিন বছর মেয়াদি জোয়ারাধার-টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) চালু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ডায়েরখালি ও গোরসয়ালে বেড়িবাঁধ কেটে (কাটিং পয়েন্ট) বিলের সঙ্গে হরি নদীর সংযোগ দেওয়া হয়।
২০০৮ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা অব্যাহত থাকে। এ সময় বিলে কোনো ফসল হয়নি। ২০১০ সালে ডায়েরখালি কাটিং পয়েন্ট বেঁধে দেয় পাউবো। আর প্রায় এক মাস স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে গত ২২ জানুয়ারি গোরসয়ালের কাটিং পয়েন্ট বেঁধে দেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। বাঁধ যাতে কেউ না কাটতে পারে, সে জন্য এলাকার কৃষকেরা পালাক্রমে বাঁধটি পাহারা দিতে থাকেন।
বিল খুকশিয়ার টিআরএমের কাটিং পয়েন্ট বাঁধ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক গাজী সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘বাঁধ থেকে কিছুটা দূরে ঘর তৈরি করে পাহারা বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় নদীতে ভাটা ছিল। জেলেরা বাঁধ কাটা দেখে খবর দিলে আমরা মাইকিং করি।এরপর কৃষকেরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এলে আমরা বাঁধটি পুনরায় বাঁধার কাজ শুরু করি। আজ (গতকাল) দুপুরে এ কাজ তা শেষ হয়।’
নিউজরুম