স্পোর্টস ডেস্ক(০৯ ফেব্রুয়ারী): অল্পের জন্য একটা ‘ঐতিহাসিক’ ম্যাচ দেখল না বিপিএল। যে ম্যাচে খেলে ফেলতে পারতেন একটা দলের কোচও। দলটা মাঠে নেমে যেতে পারত ১১ জন স্থানীয় ‘খেলোয়াড়’ নিয়েই!
আগের নয় ম্যাচ খেলে এক টাকাও না পাওয়ায় না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন অধিনায়ক চামারা কাপুগেদেরাসহ দুরন্ত রাজশাহীর বিদেশি খেলোয়াড়েরা। পরে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বিসিবির প্রতিশ্রুতি পেয়ে খেলেছেন। টানা তিন জয়ের পর খুলনার বিপক্ষে রাজশাহীর ৭ উইকেটে পরাজয়ে ভূমিকা থাকতেই পারে ম্যাচের আগে ওই বিতর্কের।
বিদেশি খেলোয়াড়দের ‘বিদ্রোহে’র কারণে ১১ জনই মেলাতে না পেরে ম্যাচ রেফারির কাছে কোচ খালেদ মাসুদকেও খেলানোর আবেদন করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের অনুমোদনের শর্তে তাতে সম্মতি দেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান, সম্মতি দেন খুলনার অধিনায়ক লু ভিনসেন্টও। শেষ পর্যন্ত মাসুদকে আর নামতে হয়নি। ডাগ-আউটে বসে তিনি দেখেছেন দলের ছন্নছাড়া অবস্থা। ৬৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আরভিন ও মুক্তার আলীর ৪২ রানের জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৩৮ রান ওঠে।
ম্যাচের আগের নাটকের কারণে এক ম্যাচে দুই অধিনায়কও ‘উপহার’ দিল রাজশাহী। টস করলেন তামিম ইকবাল, স্কোরকার্ডেও অধিনায়ক তিনি, কিন্তু মাঠে দল চালালেন কাপুগেদেরা। খুলনা রয়েল বেঙ্গলসেও কাল নতুন অধিনায়ক। শাহরিয়ার নাফীসের জায়গায় লু ভিনসেন্ট। আগের ম্যাচে হারার পর ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে শাহরিয়ার নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন নেতৃত্ব থেকে। ব্যাটিংয়ে অবশ্য তাঁর সুসময় অব্যাহত। এবারের বিপিএলে মিরপুরে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির দিনে (১২-১৩ হাজার) শাহরিয়ার করলেন ৫১ বলে ৭১ (১১টি চার)।
খুলনায় এই রাজশাহীর বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করেছিলেন, পরের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৫৩ রান। ঢাকায় ফিরে বরিশালের বিপক্ষে ৬৬, এরপর কালকের ফিফটি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারার কৃতিত্বটা তিনি দিলেন বিসিবির কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমকেও, ‘বিসিএলে প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারিনি। ওই সময় ১০-১৫ দিন ফাহিম স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি। ওটা খুব কাজে এসেছে।’
নিউজরুম