শিক্ষা ডেস্ক(০৮ ফেব্রুয়ারী): ধানমন্ডি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র হোসেন মুহাম্মদ সাইফ। ক্লাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সে বাড়ি ফেরেনি। বন্ধুদের সঙ্গে এসেছে শাহবাগে।
সাইফের মতো শাহবাগে গতকাল এসেছিল রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছুটি হওয়ার পরই তারা ওই জমায়েতে যোগ দেয়। কেউ বা ছুটির আগেই চলে আসে। আবদুল কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলন শুরু হয়। বুধবার জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের কারণে অনেক শিক্ষার্থীই শাহবাগে আসতে পারেনি। গতকাল তারা আর কোনো বাধা মানেনি।
সকালে ক্লাসে গিয়েছিল ঢাকা কলেজের ছাত্র মুহাম্মদ মাহিন হোসেন ও সফিউল আজম। কিন্তু ছুটির আগেই তারা চলে যায় শাহবাগে। সফিউল বলে, ‘একজন যুদ্ধাপরাধী আমাদের বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছে। এর চেয়ে লজ্জা আর কিছু হতে পারে না। তাই প্রতিবাদ জানাতে চলে এসেছি।’
মূল জমায়েতের পাশেই বন্ধুদের নিয়ে গোল হয়ে বসে ছিল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী নাজিফা নাওয়াল হুদা। নাজিফার বক্তব্য, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে ইতিহাস থেকে জেনেছি, কাদের মোল্লা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তাই সব বন্ধু একত্রে তার ফাঁসির দাবি জানাতে এসেছি।’
‘বন্যেরা বনে সুন্দর, রাজাকাররা পাকিস্তানে’—সাদা কাগজে এই স্লোগান লিখে নিয়ে এসেছিল হলিক্রস কলেজের নাহিদা ইসলাম, রিতু মজুমদার ও জান্নাতুল নাহার। ক্ষণে ক্ষণে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগানও দিচ্ছিল তারা।
ছুটে এসেছিল বীরশ্রেষ্ঠ নূর মুহাম্মদ কলেজের ছাত্র মির্জা সায়েম, শিহানুর রহমান ও আদিত্য আরমান। শাহবাগ মোড়ে বসে তারা স্লোগান দিচ্ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে।
গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে এসেছিল রাজউক উত্তরা মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম। বলল, ‘হরতালের কারণে বুধবার বাবা-মা শাহবাগে আসতে দেননি। তাই আজ চলে এসেছি।’
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, ইডেন কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
নিউজরুম