ঢাকা,(৮ফেব্রুয়ারী) : চাচা ইমারত আলী, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আহত হয়ে আজও হাজারো কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন। তার একবুক আশা ছিল একদিন একাত্তরের এইসব রাজাকারদের ফাঁসি হবে। কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারদণ্ড হয়েছে। এতে মর্মাহত হয়েছেন চাচা ইমারত আলী।
মনের দুঃখে জীবনের শেষ মুহূর্তে যোগ দিয়েছেন আরেক যুদ্ধে। তবে এটি মুক্তিযুদ্ধ নয়, রাজাকারদের ফাঁসির দাবির যুদ্ধ। এখানে যোগ দিয়েছে হাজারো যুবক, শিশু বৃদ্ধা।
মোড়েই বসে তিনি একটু ব্যতিক্রম ভঙ্গিতে সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করছেন। এ সময় হাতে আঁকা কয়েকটি পোস্টার নিয়ে শাহবাগ মোড়ের এক পাশে বসে আরও কয়েকজনের সঙ্গে স্বর মিলিয়ে বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করছেন ‘কাদের মোল্লা রাজাকার, একটা করে লাথি মার’।
তার এ আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন তরুণরা। সেখানে দেখা গেল সবাই এসে রাজাকারদের ছবিতে একটা করে লাথি মেরে তাদের মনের ঘৃণা প্রকাশ করছে।
তেমনি এক তরুণ ইশরাত জানান পপি বলেন, ‘আমরা মনে প্রাণে রাজাকারদের বিচার দাবি করছি। কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা কাদের মোল্লাসহ অন্য রাজাকারদের সামনে পাচ্ছি না। পাইলে সত্য সত্য তাদের মুখে লাথি দিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের কাছে পাচ্ছি না, তাই একজন মুক্তিযোদ্ধার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পারলাম না। রাজাকারদের ছবিতে একটা লাথি দিয়ে অন্তত মুক্তিযোদ্ধাহতদের পাশে থেকে বলতে চাই আমরা তোমাদের পাশে আছি, তোমরা নির্ভয়ে এগিয়ে যাও।
এসময় তিনিও অন্য তরুণদের রাজাকারদের ছবিতে একটা করে লাথি মারার আহ্বান জানান। তাদের আহ্বানে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
নিউজরুম