৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: নামে আন্তনগর, কিন্তু থামার ক্ষেত্রে কোনো উপজেলা বাদ যায় না। ঘোষিত-অঘোষিত কত স্টপেজ যে আছে, তার ইয়ত্তা নেই। ট্রেনে ভ্রমণ পছন্দ করে না এমন লোক এ দেশে কমই আছে। কিন্তু উপকূল এক্সপ্রেসে একবার উঠলে দ্বিতীয়বার ওঠার ইচ্ছে মিটে যায়। সকাল ছয়টা ৩০ মিনিটে নোয়াখালী থেকে আর বিকেল চারটায় কমলাপুর স্টেশন থেকে ছাড়ার পর শেষ গন্তব্যে যে কখন পৌঁছাব, তা কেউ বলতে পারে না।ঢাকা থেকে নোয়াখালী পৌঁছার কথা রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কিন্তু এটা শুধু কথার কথা। রাত ১২টা-১টায় পৌঁছালে সৌভাগ্য বলতে হবে। এত রাতে ট্রেনে থেকে নেমে মানুষ কোথায় যাবে? আইনশৃঙ্খলার বালাই তো ঢাকা শহরেই নেই, গ্রামগঞ্জে তো আরও ভয়াবহ। নোয়াখালী থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে আখাউড়া বা ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেড়-দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পেছন থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, এমনকি মালগাড়ি পর্যন্ত পার করে দেওয়া হয়। অথচ ট্রেনটি চলমান থাকলেও এগুলোর আগেই ঢাকা পৌঁছার কথা। ভোগান্তিতে পড়ে বেশি নারী ও শিশু। ট্রেনের টয়লেট তো ভয়াবহ, ঢুকলে নাড়িভুঁড়ি উল্টে আসতে চায়। আর কত বলা যায়। শুধু মনে হয়, এই ট্রেনটি বুঝি দুয়োরানির ছেলে। দেখার কেউ নেই।
মো. আজাদ কামাল
সেন্ট্রাল রোড, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী।