ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(০৮ ফেব্রুয়ারী):সিমের ওপর কর কমানো হলে গ্রাহকেরা কম পয়সায় সেবা পাবে। কম পয়সায় সেবা মুঠোফোন ব্যবহারের বাজার সম্প্রসারিত হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।আর মুঠোফোন অপারেটররা আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে। এটি ‘উইন উইন উইন’ পরিস্থিতি।
গত বুধবার এক আলাপচারিতায় বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর বাংলালিংকের নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিয়াদ সাতারা এসব কথা বলেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি বাংলালিংকে যোগদান করেন।
জিয়াদ সাতারা আরও বলেন, ‘ প্রতিটি মুঠোফোন অপারেটর ভর্তুকি দিয়ে সিম বিক্রি করছে। অপারেটররা নিজেরাই সিম করের টাকা পরিশোধ করে দেয়। আর যদি গ্রাহক তিন-চার মাস পুরোদমে সংশ্লিষ্ট সিম-সংবলিত মুঠোফোন ব্যবহার করে, তবেই করের অর্থ ওঠে আসে। আর যদি গ্রাহক তা ব্যবহার না করে, তবে সিম করের পুরো অর্থটাই লোকসান হয়। সিম করের কারণে অপারেটরদের আর্থিক লোকসানের ঝুঁকি থাকে।’
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, ‘প্রতিটি মুঠোফোন অপারেটরকে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করতে হয়। সিম কর কমানো হলে মুঠোফোনের ব্যবহার বাড়বে। আর গ্রাহকদের পর্যাপ্ত অবকাঠামো তৈরি করতে অপারেটরদের বিনিয়োগের সুযোগ আরও সম্প্রসারিত হবে। এতে পুরো সমাজ উপকৃত হবে।’
ব্যয় মুনাফা বিশ্লেষণ সম্পর্কে সাতারা বলেন, ট্যাব, ল্যাপটপসহ সব ধরনের ডিভাইসে থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এখন সিম ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। একজন গ্রাহক এগুলো ব্যবহার করলে বেশ কয়েকটি সিম কিনতে হবে। কিন্তু সিম করের জন্য তা ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে।
থ্রিজি প্রযুক্তির জন্য বাংলালিংক কতটা প্রস্তুত? এমন প্রশ্নের জবাবে জিয়াদ সাতারা বলেন, ‘এখন ভয়েস সেবা থেকে ডেটা সেবায় যাচ্ছে মুঠোফোন অপারেটররা। এ জন্য থ্রিজি প্রযুক্তির প্রয়োজন।ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে অপারেটরদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।অপারেটররা তাদের সুপারিশগুলো করেছে। আর সরকারও ইতিবাচকভাবে তা দেখছে। আমরা এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’
বর্তমান মুঠোফোন অপারেটরদের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাতারা বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি বিকল্প ব্যবস্থায় সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। জেনারেটর ব্যবহার করলে খরচ অনেক হয়। এতে অপারেটরদের অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা খরচ ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় ১০ গুণ বেশি। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোর মুঠোফোন অপারেটররা অনেক বেশি আয় করে থাকে।বাংলাদেশে বিনিয়োগ খরচ বেশি, সেই তুলনায় আয় কম।’
নিউজরুম্