৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩: স্টুডেন্টস কাউন্সিল
শুরু হলো প্রাথমিক স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন২০১৩। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সার্বিককার্যক্রমে ব্যাপক অংশগ্রহণ, উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল শিক্ষার্থীদেরমধ্যে। তখন সারা দেশে ২০টি উপজেলায় ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরিনির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করা হয়, যা ছিল প্রশংসনীয়।এরপর ২০১১ সালে যথারীতি ৭৪৩টি বিদ্যালয়ে একযোগে স্টুডেন্টস কাউন্সিলনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে সারা দেশে সর্বমোট ১৩হাজার ৫৮৩টি বিদ্যালয়ে একযোগে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।স্টুডেন্টস কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তা ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। এইকার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই।
এখনো অনেক গ্রাম আছে, বিদ্যালয় আছে যেখানেস্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন এবং স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কার্যক্রম শতভাগপ্রতিফলিত হয়নি, যা দুঃখজনক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিলম্যানুয়ালে উল্লেখ আছে, বিদ্যালয়ের প্রধান সাতটি কার্যক্রমের দায়িত্বেনির্বাচিত সাতজন প্রতিনিধি থাকবেন। দায়িত্বের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে: ১. পরিবেশসংরক্ষণ ২. পুস্তক ও শিখনসামগ্রী ৩. স্বাস্থ্য ৪. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ৫.পানিসম্পদ ৬. বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি ৭. অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন।
স্টুডেন্টসকাউন্সিল নির্বাচনে নির্বাচিত সাতজন প্রতিনিধি যাতে তাঁদের কাজগুলোসঠিকভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন, সে ব্যাপারে শিক্ষকের উচিত সর্বাধিকসহায়তা দেওয়া। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন নির্বাচিত স্টুডেন্টসকাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করে সবার কাজগুলো আলাদাভাবে বুঝিয়ে দেওয়া। তারপরপ্রয়োজন তাঁদের কাজে সর্বাত্মক স্বাধীনতা দিয়ে সারা বছরের কার্যক্রমপর্যবেক্ষণ করা, যাতে প্রয়োজনীয় ও সঠিক সময়ে নির্বাচিত সদস্যদের সহায়তাদেওয়া যায়।
স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন এবং স্টুডেন্টস কাউন্সিলেরকার্যক্রম যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেহেতু বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকেঅন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই ভালোভাবে বিষয়টিসম্পর্কে অবগত হতে পারে। তাহলে নিজেরাই নিজেদের কাজগুলো সম্পর্কে অধিক বেশিসচেতন হতে পারবে।
স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন এবং স্টুডেন্টসকাউন্সিলের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদেরমধ্যে গণতন্ত্রের বিশুদ্ধ চর্চা গড়ে উঠবে ছোটকাল থেকে, তেমনি সামাজিকসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। একদিন স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদেরঅক্লান্ত পরিশ্রম আর সদিচ্ছায় এবং শিক্ষকদের সহযোগিতায় বন্ধ হবে বিদ্যালয়থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ফুলের বাগানইত্যাদির মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হবে পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। আর এই স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কার্যক্রমের মাধ্যমেদেশ পাবে একদিন অজস্র দেশ গড়ার কারিগর।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
আলীশারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
রহিমা বেগমের জীবন
৩১জানুয়ারি প্রথম আলোর সাতের পাতায় কাজী আনিছের লেখা রহিমা বেগমের দুর্বিষহজীবনের কথা পড়ে চোখে পানি এসে গেল, খুবই মর্মাহত হলাম। ঝলমলে ঢাকা শহরেরমধ্যেই কত কষ্ট, কত দুঃখ নিয়ে মানুষ বাস করছে। গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে মরছেকত মানুষ। খবরের পাতায় তাদের নাম উঠছে। বেঁচে থেকেও তারা দুর্বিষহ জীবনকাটাচ্ছে। দুঃখী মানুষের দুঃখ দূর হয় না। কোনো জরিপের মাধ্যমে তাদের স্থায়ীসমস্যার সমাধান করা হয় না। কত রহিমা, জরিনারা এভাবে কষ্ট পাচ্ছে, তার ঠিকনেই। অন্যদিকে কত মানুষ বিলাসী জীবন যাপন করছে। অপচয় করছে কত অর্থের। মানুষতো মানুষেরই জন্য, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে সচ্ছল মানুষই দাঁড়াবে, এটাইকাম্য। রহিমা বেগমের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
নূরজাহান আহমেদ
যশোর।