গ্রামজুড়েই মানুষ বিষধর সাপ পুষছে

0
696
Print Friendly, PDF & Email

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক( ফেব্রুয়ারী): চীনের নিরিবিলি গ্রাম জিসিকিয়াওকয়েক দশক আগে কৃষিকাজ ও মস্য চাষই ছিল এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকাকিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলে গেছেগ্রামজুড়েই মানুষ বিষধর সাপ পুষছেভালো উপার্জনও করছে
বর্তমানে ওই গ্রামে সাপের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখকেউ একটা পুষছে তো অন্য কেউ পুষছে তিন হাজার সাপগ্রামের সর্বত্র কিলবিল করা সাপের মধ্যে অজগর ছাড়াও রয়েছে বিষধর জাত সাপ ও গোখরা
শতাধিক সাপ রয়েছে এমন খামারগুলোতে কাঠের ছোট বাক্সে সাপ রাখা হয়আর এসব বাক্স একটির ওপর আরেকটিকে স্তূপ করে রাখা হয়
গ্রীষ্মকালে বিষধর সাপগুলোকে মাটির গর্তে ভরে রাখা হয়এর মধ্যে এমনও বিষধর সাপ আছে, যেগুলো ছোবল দিলে মানুষের পক্ষে পাঁচ কদমও হাঁটা সম্ভব নয়এর আগেই মানুষটির মৃত্যু হবে
সাপ চাষের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে অর্থ উপার্জনসাপের মাংস রেস্তোরাঁয় বিক্রি করা হয়সামনেই নতুন চান্দ্রবর্ষকে বরণ করবে চীন জন্য সাপের মাংসের চাহিদা অনেক বেড়েছেফলে উসব সামনে রেখে সাপের খামারিরা বড় ধরনের উপার্জনের প্রত্যাশা করছেন
সাপের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চাহিদারও কমতি নেইওষুধ তৈরির জন্য এসব ব্যবহার করা হয়আর সাপের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে তৈরি ওষুধের ব্যবহার সেখানে একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যাপার
কয়েক দশক আগে ইয়াং হংচং (৬১) নামের এক ব্যক্তি জিসিকিয়াওয়ে সাপের চাষ শুরু করেছিলেনহংচং বলেন, ‘আমার আশা, সাপের চাষ করে আমি এবার দিগুণ মুনাফা করতে পারবতিনি আরও বলেন, ‘সাপ আমাদের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনছে
সাপের চাষ শুরুর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে হংচং বলেন, একটা জটিল অসুখের চিকিসার জন্য তিনি সেই সময় একটি বন্য সাপ ধরেছিলেনএর পর থেকেই তাঁর নেতৃত্বে ওই গ্রামে সাপ পোষার হিড়িক পড়ে
হংচং আরও বলেন, সাপের চাষ সত্যিই বিপজ্জনকএকবার সাপের ছোবলে একজনের মৃত্যুও হয়েছেতার পরও সাপের চাহিদা অনেক বেড়েছেসেই সুবাদে গ্রামের মানুষও ভাগ্য বদলের জন্য সাপের চাষকেই গুরুত্ব দিচ্ছেবিবিসি

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন