চট্টগ্রাম,(৬ফেব্রুয়ারী) : চট্টগ্রাম:মঙ্গলবার চট্টগ্রামে পুলিশ ও জামায়াত-শিবির সংঘর্ষে নিহত চারজনকে নিজেদের কর্মী দাবি করে ‘রক্তের বদলে রক্ত’ এ নীতিতে প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতারা।
বুধবার বিকেল তিনটায় নগরীর চকবাজার প্যারেড ময়দানে গায়েবানা জানাজাপূর্ব সমাবেশে নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর আমির শামসুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুল হক চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলাম, উত্তর জেলার আমির অধ্যক্ষ আমিরউজ্জামান, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মাঈনউদ্দিন রুহী, শিবিরের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, শিবির নেতা মো. ইসমাইল, মাশরুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া নগরীর অলংকারে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে নিহত ইমরান খানের ভাই আরমান খান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীতে ঘাপটি মেরে থাকা হিন্দুস্তানী দালাল ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মী খুন হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকারের সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবারের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে চার কর্মীকে খুন করেছে। প্রয়োজনে রক্তের বদলে রক্ত, ভাই হারানোর বদলা আমরা নেব।’
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে নগরীর অলংকার এবং বহদ্দারহাট-মুরাদপুর এলাকাজুড়ে যানবাহন ও দোকান ভাংচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সন্ধ্যার দিকে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাংচুর করে।
সমাবেশে আবারও ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিতে আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, ‘এ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দিতে হবে। কারাগারে আটক জামায়াত নেতা গোলাম আজম-নিজামী-সাঈদীসহ জামায়াত নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। তাদের মুক্তি দিলে আন্দোলন বন্ধ ঘোষণা করা হবে। অন্যাথায় আন্দোলন চলবে।’
সাড়ে তিন’শ খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ থাকা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় প্রত্যাখান করে বক্তারা। তারা বলেন, ‘কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলাইতে পারেনি।’
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন নগর জামায়াতের আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম এমপি। জানাজায় কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দেয়।
প্যারেড মাঠের আশপাশের এলাকাজুড়ে কঠোর পুলিশ-ৠাবের কঠোর ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
মঙ্গলবার পুলিশ ও জামায়াত-শিবির সংঘর্ষে নগরীর অলংকার মোড়ে একজন ও দেওয়ানহাটে তিনজন মারা যায়। তাদের মধ্যে দুইজন শিবিরের কর্মী বলে জানা গেছে। অন্য দুইজনের একজন সিইপিজেড’র কর্মচারী ও অপরজন পথচারী।
নিউজরুম