সিরাজগঞ্জ ডাকাত সন্দেহে ১০ পুলিশকে গণধোলাই

0
227
Print Friendly, PDF & Email

সিরাজগঞ্জ,(৬ফেব্রুয়ারী) : হরতালে নাশকতা ও বাস ভাঙচুরের মামলার দুই এজাহারভূক্ত আসামি ও জামায়াত সমর্থককে গ্রেফতার করতে গিয়ে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার দু’দারোগাসহ ১০ পুলিশ সদস্য গণ ধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের সেনগাঁতী গ্রামে সলঙ্গা থানার দারোগা মোস্তাফিজুর রহমানসহ একদল পুলিশ জামায়াত সমর্থক কাজি আব্দুল মালেক ও তার ভাই আব্দুল মজিদকে ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আসামির স্বজনরা ডাকাত সন্দেহে দারোগা মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী দারোগা আব্দুল খালেকসহ অন্য পুলিশ কনস্টেবলদের পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় গণধোলাই দেয়। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও কনস্টেবল দালিল উদ্দিন আটকে পড়ায় তিনি বেশি মারধরের শিকার হয়েছেন। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও উল্লাপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দালিলকে উদ্ধার করে গুরতর অবস্থায় রাতেই তাকে সদর হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে।

বুধবার সকালে পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর আহত পুলিশ সদস্য দলিলকে হাসপাতালে দেখতে যান।

এ ঘটনায় বুধবার ভোররাতে কাজি আব্দুল মালেক ও আব্দুল মজিদসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলা করেছে। এছাড়া মনিরুল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

সলঙ্গা থানার ওসি তাজুল হুদার বুধবার সকালে মহাসড়কে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে আহত হওয়ায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে দারোগা মোস্তাফিজও মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী জানান, রাতে আসামি ধরতে এসে তার স্বজনরা ডাকাত সন্দেহে সলঙ্গা থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করেছে বলে বুধবার সকালে শুনেছি।

পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, আসামি ধরতে গেলে গ্রামবাসী ডাকাত সন্দেহে ক’জন পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করায় সলঙ্গা মামলা হয়েছে। আহত কনস্টেবল দলিলকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সম্প্রতি জেলার বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর, উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং মহাসড়কে র‌্যাব ও পুলিশ পরিচয়ে বেশ কয়েকটি গণ-ডাকাতি সংগঠিত হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানার তাঁত সমৃদ্ধ খুকনী গ্রামের গণ-ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় কলেজ ছাত্র মনিরুল ইসলাম ডাকাতদের হাতে সম্প্রতি নির্মমভাবে আহত হয়ে ৯ দিন হাসপাতালে মারা যায়।

এদিকে, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নিজ উপজেলা বেলকুচি এবং প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নিজ গ্রাম উল্লাপাড়ার খান সনতলায় সম্প্রতি গণ-ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসী এখনও রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে বলেও স্থানীয়ভাবে জানা যায়।

নিউজরুম

শেয়ার করুন