সংসদ ভবন,(৬ফেব্রুয়ারী): বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।মুজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি ওয়াশিংটন টাইমসে বিরোধীদলীয় নেতার এক নিবন্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মনে হয় উনি (খালেদা জিয়া) যে প্রবন্ধ লিখেছেন তা পরে নিজেই পড়ে দেখেননি। যিনি দু’বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি কীভাবে এ ধরনের প্রবন্ধ লিখতে পারেন?”
তিনি বলেন, “ওই প্রবন্ধে উনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ১৯৭১ সালের মতো বাংলাদেশের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বলেছেন। কিন্তু ’৭১ এ তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিলো পাকিস্তানের পক্ষে । তার অবস্থান স্বাধীনতার পক্ষে না বিপক্ষে তা জনগণ বিচার করবে।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “উনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন না বলেই ইএসএকে দিয়ে বাংলাদেশকে শায়েস্তা করতে চাচ্ছেন।”
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদলীয় নেত্রী কী চাচ্ছেন, তার বিচার জনগণ করবে?
নূর আফরোজ আলীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “চাকরিরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে অতীতে সরকারি কর্মচারীদের ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতো। বর্তমানে এ অংক পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর আহত হলে দুই লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, “রাশিয়া সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে ১০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি চুক্তি ও সাতটি সমঝোতা স্মারক। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে সন্ত্রাস দমন এবং আইন ও বিচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা রয়েছে। তাছাড়া, রাশিয়া সফর বিভিন্ন দিক থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে ও বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”
একই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, “চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের প্রথম দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল কাজ শুরু করা যাবে।”
বজরুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৯ সালের বিশ্বমন্দার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির গতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।”
দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে মো. শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আট হাজার ৫শ’ ২৫ মেগাওয়াট। শীতকালীন প্রকৃত উৎপাদন চার হাজার ৪শ’ থেকে চার হাজার ৮শ’ মেগাওয়াট। গত ৩১ জানুয়ারির রেকর্ড অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিলো, চার হাজার ৮শ’ ৬২ মেগাওয়াট। তাছাড়া, এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছয় হাজার ৩শ’ ৫০ মেগাওয়াট।”
এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, “বিগত চারদরীয় জোট সরকারের আমলে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিলো, ১৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের আমলে গত চার বছরে এর পরিমান ৪৮ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।”
নিউজরুম