ঢাকা, (৬ফেব্রুয়ারী) : দুই নেত্রীকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন ‘গড়বো বাংলাদেশ’ বিপ্লবী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. শাহেদা। বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
লিখিত বক্তব্যে দলের সংগঠনটির মুখোপাত্র কামরুল হাসান বলেন, “এর আগেও দুই নেত্রীর অবসরের দাবিতে হরতালসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। এবার মহান ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে যদি তারা অবসর না নেন তাহলে ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আবারও নতুন কমর্সূচি দিতে বাধ্য হবে ‘গড়বো বাংলাদেশ’।”
তিনি আরও বলেন, “দুই নেত্রীর পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয়, বোন রেহেনা, মেয়ে পুতুল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদাসহ মোট সাত জনের অবসর দাবি করেছেন তারা।”
কামরুল হাসান বলেন, “এই দুই নেত্রী দেশের গণতন্ত্রকে পরিবারতন্ত্রে রূপান্তরিত করে ফেলেছে। তারা এখন বৃদ্ধ, কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, দুই নেত্রী যেভাবে দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, তাদের পরিবার ক্ষমতায় আসলেও রাজনীতির সে চিত্র পাল্টে যাবে না।”
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারের আসার সময় সবাইকে একাধিক ফুলের তোড়া নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ড. শাহেদা বলেন, “একটি তোড়া দেবেন শহীদদের অন্যটি দেবেন দুই নেত্রীকে অবসর নেওয়ার জন্য।”
ড. শাহেদা আরও বলেন, “২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন না হয় ২১ ফেব্রুয়রি অবসরের ঘোষণা দিন। তা না হলে ২২ ফেব্রুয়ারি ‘গড়বো বাংলাদেশ’ নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির উদ্যোগ নিবে।”
এর আগে একই দাবিতে এর আগেও হরতালের ডাক দিয়েছিলো গড়বো বাংলাদেশ। ২১ ফেব্রুয়ারি অবসর না নিলে আবারও হরতাল দেবেন কী না জানতে চাইলে ড. শাহেদা সাংবাদিকের জানান, “শুধু হরতাল নয় আরো কঠোর কর্মসূচি দেবে গড়বো বাংলাদেশ।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম, শফিক সরকার, মহিবুল আলম লিটন, আব্দুল সোবাহান প্রমুখ।
প্রসঙ্গতঃ এর আগে একই দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর আধা বেলা হরতাল পালন করে গড়বো বাংলাদেশ। এছাড়া নানা সময় বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তারা দুই নেত্রীর অবসরের দাবি করে আসছে।
নিউজরুম