কৃষি ডেস্ক(০৬ফেব্রুয়ারী):
তীব্র কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে নওগাঁয় অসংখ্য বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দেখা দিয়েছে বীজ সঙ্কট। ভরা মওসুমে চারা সঙ্কটে কৃষক বীজ রোপণ করতে পারছেন না। ফলে কৃষকের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। এক দিকে উৎপাদন খরচ বেশি তার ওপর চারা সঙ্কটে এবার জেলায় বোরো চাষের ল্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পৌষের মাঝামাঝি টানা ঘন কুয়াশায় নওগাঁয় রোপণ করা বীজতলা একদফা তির মুখে পড়ে। কৃষকের বিরাহীন প্রচেষ্টায় বীজতলাগুলো কিছুটা সামলে নিলেও মাঘের শেষ ক’দিনের টানা কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে বীজতলায় দেখা দেয় মড়ক। বীজতলাগুলো লালচে হয়ে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এ দিকে বীজ সঙ্কটে ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষক। এ কারণে অনেকে চাষ করেও বীজ রোপণ করতে না পেরে জমি ফেলে রেখেছেন।
নষ্ট বীজতলা কোনো কাজে না আসায় গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন চাষিরা।
অন্যান্য বছর পৌষের শেষ সপ্তাহে এ জেলায় পুরোদমে ধান রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষক; কিন্তু এবার চারা বীজ খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করছেন তারা।জেলার মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর গ্রামের চাষি সাইদুর রহমান, মাহবুব আলম, আব্বাস আলী জানান, টাকা দিয়েও চারা মিলছে না হাটগুলোতে। এক বিঘা জমি রোপণ করতে দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকার চারা বীজ কিনতে হচ্ছে। এমনিতে ধানের দাম কম তার ওপর কয়েক দফা বেড়েছে ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম। ফলে এবার বোরো চাষে চাষিদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে।
চলতি মওসুমে জেলায় দুই লাখ ৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এমন অবস্থায় অনেক চাষি বোরো চাষ কমিয়ে ফেলার ফলে ল্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এস এম নুরুজ্জামান মণ্ডল জানান, নষ্ট বীজ তলায় প্রয়োজনীয় তদারকি করে ভালো করার জন্য কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করছে।
নিউজরুম