শিক্ষা ডেস্ক(০৬ ফেব্রুয়ারী): সরকারের আর্থিক সামর্থ্যের বিবেচনায় দেশের সব বেসরকারি শিক্ষককে এমপিওভুক্তির দাবি বাস্তবসম্মত নয়। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সংসদে অনুপস্থিত জামায়াতের সাংসদ লুৎফুর রহমানের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বাড়লে ভবিষ্যতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।
তহুরা আলীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কতজন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করতে যান এবং বর্তমানে কতজন পড়াশোনা করছেন, সেই হিসাব সরকারের কাছে নেই। কারণ, অনেকেই নিজ খরচে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যান। তবে, বিদেশের সরকার বৃত্তি দিয়ে প্রার্থী নির্বাচনের অনুরোধ জানালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থী মনোনয়ন দেয়। এ ধরনের বৃত্তির আওতায় বছরে ৩০০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে বিদেশে পড়াশোনার জন্য মনোনীত করা হয়।
সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৩ শিক্ষাবর্ষে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ কোটি ১৮ লাখ নয় হাজার ১০৬টি বই বিতরণ করা হয়েছে। আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে তিন কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৭২ জন।
বিএনপির রেহানা আক্তার রানুর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদের কাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসানের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে চার্জশিটে আসামি করতে আইনগত বাধা নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী, রেকর্ড পর্যালোচনা ও ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ‘প্রাইমা ফেসিয়া’ প্রতিষ্ঠত না হওয়ায় ওই দুজনকে মামলায় আসামি করেনি দুর্নীতি দমন কমিশন।
সুলতানা বুলবুলের প্রশ্নের জবাবে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশের নিচু জমি কতিপয় আবাসন কোম্পানি নামে-বেনামে ভরাটের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার জন্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা বলেন, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সাতটি স্থানকে ভিক্ষকমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। নির্বাচিত স্থানগুলো হলো: বিমানবন্দর, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা, হোটেল র্যাডিসন, বেইলী রোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকা।
নিউজরুম