স্পোর্টস ডেস্ক(০৬ ফেব্রুয়ারী): ১১ বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ের সুখস্মৃতি কিছুটা হয়তো ফিকে হয়েছে। তবে লুইসফেলিপে স্কলারির মানসপটে এখনো নিশ্চয় অমলিন সেই স্মৃতি। তাঁর হাত ধরেই যে ‘পেন্টা’ জিতেছিল ব্রাজিল! ২০০২ বিশ্বকাপেরই শেষ আটে ইংল্যান্ডের মুখোমুখিহয়েছিল স্কলারির ব্রাজিল। এগিয়ে যাওয়ার পরও সেবার রোনালদিনহোর অবিশ্বাস্যএক গোলে কপাল পুড়েছিল ‘থ্রি লায়ন’দের। নিজের পুনরাভিষেকে সেই ইংল্যান্ডকেইপাচ্ছেন স্কলারি। আজই ওয়েম্বলিতে মুখোমুখি হবে দুই দল। দুর্দান্ত সেই জয়েরনায়ক রোনালদিনহোও আছেন আজকের প্রীতি ম্যাচে।
প্রীতি ম্যাচের মেলার দিনেআজ ৩৫টি ম্যাচ। মুখোমুখি হবে পরাশক্তিরাও। প্যারিসে চোটে জর্জরিত জার্মানিরপরীক্ষা নেবে দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। গত ২৬ বছরে ফ্রান্সের সঙ্গে জয়টাঅবশ্য অধরাই হয়ে আছে জার্মানদের। আমস্টারডামে হবে হল্যান্ড-ইতালি মহারণ।অবাক করার মতোই পরিসংখ্যান, এখন পর্যন্ত কখনো প্রীতি ম্যাচে ইতালিকে হারাতেপারেনি ডাচরা! আর সোলনায় নিজেদের মাঠে সুইডেনের প্রতিপক্ষ মেসিরআর্জেন্টিনা। জাতীয় দলের হয়ে গত বছরটা ভালোই উপভোগ করেছেন মেসি, নয় ম্যাচেগোল করেছেন ১৩টি। গোল পাননি শুধু দুটি ম্যাচে।
এত ম্যাচের ভিড়েও বেশিরভাগের চোখটা থাকছে ওয়েম্বলিতেই। স্কলারির দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুটা যে আজই!দলে এসেই একেবারে খোলনলচে পাল্টে ফেলেননি স্কলারি। তবে পুরোনো শিষ্যদেরডাকতে ভুল করেননি। নেইমার, অস্কার, লুকাস মৌরাদের মতো উদীয়মানদের পাশাপাশিথাকছেন রোনালদিনহো, লুইস ফ্যাবিয়ানোর মতো পরীক্ষিতরাও। অভিষেকের অপেক্ষায়বায়ার্ন মিউনিখের ব্রাজিলিয়ান সেন্টারব্যাক দান্তে।
২০০৬ সালেইইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার একটা সুযোগ এসেছিল স্কলারির সামনে। কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েও শেষমেশ হয়নি সেটা। গতকাল লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, জেরার্ডদের কোচ না হতে পারাটা এখনো আফসোসে পোড়ায় তাঁকে, ‘অবশ্যই এটা আমাকেকষ্ট দেয়। ইংল্যান্ডের কোচ হলে আমি খুশিই হতাম। কে তা হতো না?’ ভবিষ্যতেকোনো দিন এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেননি, ‘ইংল্যান্ড ম্যানেজার ওখেলোয়াড়দের জন্য আমার শুভকামনা রইল। আর পরে কী হবে, সেটা আপনি কখনোই বলতেপারবেন না। হয়তো কোনো এক দিন…।’
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগেনেইমার-অস্কারদের নিয়ে অনুশীলনের সুযোগ অবশ্য খুব একটা পাননি। ইউরোপিয়ানফুটবলের ঠাসা সূচিতে সেটা অবশ্য স্বাভাবিকই। ব্যাপারটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেইদেখছেন স্কলারি, ‘আমি মাত্র একটা অনুশীলন পর্ব পেয়েছি, এটাকে ঢাল বানাতেচাই না। আমি সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত।’
আগামী বছরই নিজেদের দেশেবিশ্বকাপ। কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে না পারাটাকে ব্রাজিলেরবিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বড় গলদ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। নিছক প্রীতি ম্যাচেরচেয়েও তাই আজকের খেলাটা স্কলারির কাছে বেশি কিছুই, ‘আমরা এটাকে প্রীতিম্যাচ হিসেবে দেখছি না, বরং বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছি। এখনপ্রীতি ম্যাচ বলে কিছু নেই। প্রতিটি খেলাই গুরুত্বপূর্ণ।’ অ্যাটলেটিকোমিনেইরোর হয়ে এই মৌসুমে রোনালদিনহোর পায়ে সেই পুরোনো জাদু। তাতে কি তাঁরবিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত? স্কলারি আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন জানাকথাটাই—পারফরম্যান্স দিয়েই নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে হবেরোনালদিনহোকে। এএফপি, ওয়েবসাইট।
নিউজরুম