ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন মির্জা ফকরুল

0
144
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা,(৪ফেব্রুয়ারী) : পুলিশকে হত্যা চেষ্টা ও ককটেল ফাটানো বিষয়ে কলাবাগান থানায় করা মামলায় ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন কারাবন্দি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।এর ফলে মির্জা ফখরুলের মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রোববার সকালে হাইকোর্টে এ জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি এ মামলায় বিচারিক আদালত মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেননি। তবে ওইদিন রাজধানীর পল্টন থানার গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি পল্টন থানার মামলা ও ২৪ জানুয়ারি কলাবাগান থানার মামলায় সিএমএম আদালত ফখরুলের জামিনের আবেদন নাকচ করলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি জামিনের আবেদন দু’টি করা হয়েছিল।
পল্টন থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে দুপুর ১টায় মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ২০০/৩০০ বিএনপি নেতাকর্মী ভিআইপি রোডের হোটেল ক্যাপিটালের সামনে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ৫টি ককটেল নিক্ষেপ করেন।
এছাড়াও অপর একটি মিছিল আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে পুলিশকে লক্ষ্য করে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর বিএনপির এক সভায় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল অবরোধে রাস্তায় গাড়ি বের না করতে হুমকি দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফখরুলের পরিকল্পনা ও নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই ঘটনা সংঘটিত করেছেন।
এছাড়া কলাবাগান থানার মামলায় অবরোধের দিন পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়।
পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার পৃথক দুই মামলায় গত ২ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলে ওই দিনই তাকে সুত্রাপুর ও মতিঝিলের দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো (শোন অ্যারেস্ট) হয়।
গত ১৫ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল সূত্রাপুর থানার মামলায় জামিন পেলে ১৬ জানুয়ারি তাকে আরও দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে রাজধানীতে ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার দু’টিতে মির্জা ফখরুলকে সরাসরি আসামি করা হয়।

অপর মামলাগুলোর এজাহারে থাকলেও এফআইআরে তার নাম নেই।গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছ’টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচ থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

নিউজরুম

শেয়ার করুন