শহীদ মিনার
ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতিসত্তার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণেই নির্মিত হয় শহীদ মিনার।কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমনকি এমপিওভুক্ত কলেজ ও কিন্ডারগার্টেনে কোনো শহীদ মিনার নেই। এতে আমরা ছোটবেলায় যেমন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বঞ্চিত হয়েছি, তেমনি বর্তমান শিক্ষার্থীরাও বঞ্চিত হচ্ছে। তা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও আমি লক্ষ করেছি, গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে কখনো বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস ও শোক দিবসের মতো জাতীয় দিবসে কোনো আলোচনা অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। ফলে গ্রামাঞ্চলের লাখ লাখ ছেলেমেয়ের মধ্যে দেশপ্রেম সেভাবে জাগ্রত হচ্ছে না। আমি এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. হাসানুজ্জামান
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
উপহাস সহ্য হয় না
আমি হাসিনা খানম মরহুম ক্যাপ্টেন আলি আকবর আকনের (বীর প্রতীক) বিধবা স্ত্রী।যাঁর ছবি এবং একাত্তরের ভূমিকা ২০১২ সালের ১৭ মে প্রথম আলোয় ছাপা হয়েছিল।অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে দেশবাসীকে জানাচ্ছি, আমার স্বামী বছর খানেক আগে মারা গেছেন। রেখে গেছেন জীর্ণ একটি কুঁড়েঘর। বেঁচে থাকতে তিনি কুঁড়েঘরটি মেরামতের জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু অর্থাভাবে কিছুই করতে পারেননি।বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছুই করছে। এ অঞ্চলে একমাত্র বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত আমার স্বামীই ছিলেন অথচ তাঁর জন্য সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কিছুই করল না। প্রতিবেশীরা আমাদের উপহাস করে, ভর্ৎসনা করে। মানবেতর জীবন যাপন করছি।
স্বামী বেঁচে থাকতে সাহায্যের জন্য অনেক চেষ্টা-তদবির করেছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি। স্বামীর দাফন কাফন খরচ বাবদ পিরোজপুর ডিসি অফিস এখন পর্যন্ত প্রাপ্য টাকা আমাকে দেয়নি, সেখানেও পয়সা চায়। সত্বর আমার ঘরটি মেরামত করা দরকার, যার খরচ আমার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। আমি হূদেরাগে আক্রান্ত। চিন্তা শুধু আমার একমাত্র ছেলেটিকে কোথায় রেখে যাব?
হাসিনা খানম, ভাণ্ডারিয়া, পিরোজপুর।