ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(০৪ ফেব্রুয়ারী): চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কমে গেছে।
বাংলাদেশব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথমপাঁচ মাসে সরকারকে ১২ হাজার ৬৯৬ কোটি আট লাখ টাকার বাজেট ঘাটতি অর্থায়নকরতে হয়েছে। আর ২০১১-১২ অর্থবছরের একই সময় অর্থায়ন করতে হয়েছিল ১৮ হাজার৯৫২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।
ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনায়কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর বিদেশি সাহায্য ব্যবহারে কিছুটা অগ্রগতি হওয়ায় এপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, অর্থবছরেরপ্রথম পাঁচ মাসে ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশি উৎসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে বিদেশি অর্থায়নের পরিমাণছিল মাত্র ৭২৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই সময়কালে বিদেশি সাহায্য প্রায়পাঁচ গুণ বেড়েছে।
অবশ্য গত অর্থবছরের প্রথম ভাগে বিদেশি সহায়তাপ্রবাহখুব অল্প থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা অনেক বেড়ে যায়। আর তা মোট ঘাটতি অর্থায়নেরপ্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল।
ঘাটতি অর্থায়নে বিদেশি উৎসের ব্যবহার বাড়ানোয়অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ প্রসঙ্গেবলেছিলেন, ‘ঘাটতি অর্থায়নে এবারও আমরা সহজ শর্তে স্বল্প সুদে বিদেশি উৎসথেকে ঋণ আহরণকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
বিদেশি অর্থায়ন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায়দেশীয় উৎস থেকে অর্থায়ন কমে গেছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণগ্রহণও কমে গেছে। গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যেখানে দেশীয় উৎস থেকেসরকারকে ১৮ হাজার ২২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল, সেখানে চলতিঅর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রকৃত (নিট) ঋণ গ্রহণ দাঁড়িয়েছে মাত্র আট হাজার৬০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
প্রকৃত ঋণ গ্রহণ বলতে নির্দিষ্ট সময় নতুন ঋণ গ্রহণ ও আগে গৃহীত ঋণের মূল পরিশোধের মধ্যকার পার্থক্যকে বোঝানো হয়।
পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশীয় উৎসের মধ্যে ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে গৃহীত ঋণের প্রকৃত পরিমাণ হলো এক হাজার ৩৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
ব্যাংকবহির্ভূত ঋণের প্রায় পুরোটাই আবার আসে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে।
অন্যদিকেএই সময়কালে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৮৭কোটি ১০ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময় সরকারকে ১৭ হাজার ৯৭ কোটি ১০লাখ টাকার ঋণ নিতে হয়েছিল ব্যাংকব্যবস্থা থেকে।
নিউজরুম