স্পোর্টস ডেস্ক(০৪ ফেব্রুয়ারী): দুজনের জন্মই মে মাসে। মাঝখানে অবশ্য আট বছরের ব্যবধান। তবে সেই ব্যবধানটিমনে হয় না-জানি কত অযুত-নিযুত মাইলের। দুজনই মিডফিল্ডার। কিন্তু মিলটা আরওএক জায়গায় হতে পারত। ডেভিড বেকহাম ইংল্যান্ডের সীমানা ছাড়িয়ে যেমন পুরোবিশ্বেই পরিচিতি ছড়িয়েছেন, হয়ে উঠেছেন মহাতারকা; হয়তো কক্ষচ্যুত না হলেইংল্যান্ড থেকে বেকহামের আগেই সে রকম তারকাখ্যাতি পেতেন পল গ্যাসকোয়েন। একমদের নেশা বিরাট এক প্রতিভাকেও কীভাবে খুন করে ফেলতে পারে, সেটারই প্রমাণহয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছেন।
তবে বেশি দিন আর বেঁচে না-ও থাকতে পারেন!কদিন পরপর ‘গাজ্জা’ নামে পরিচিত এই সাবেক ফুটবলারের মরণাপন্ন অবস্থা নিয়েখবর হয় বলে হয়তো অনেকের গা-সওয়া হয়ে গেছে। তবে এবার তাঁর এজেন্ট টেরি বাকেরবলছেন, গাজ্জার জীবন সত্যিই ভীষণ ঝুঁকির মধ্যে। কাল সানডে মিরর-এ গাজ্জারছাপা হওয়া একটি ছবি বাকেরের আশঙ্কাকে সত্যিই মনে করাচ্ছে। যেখানে ৪৫ বছরবয়সী গ্যাসকোয়েনকে মনে হচ্ছে সত্তরের বুড়ো।
একসময় ইংল্যান্ডের সর্বকালেরঅন্যতম সেরা প্রতিভা বলে বিবেচিত গাজ্জা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকেসেমিফাইনালে তুলতে তাঁর বড় ভূমিকা। এই সাবেক তারকা গত বৃহস্পতিবার একটিদাতব্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। নেশার ঘোরে থাকা গাজ্জা মঞ্চে ছিলেন টলায়মানঅবস্থায়। সেখানে একপর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মদের নেশা তাঁকে শেষ করেফেলছে। কিন্তু তিনি এই নেশা থেকে মুক্তিও পাচ্ছেন না।
তাঁর এজেন্টও কালবিবিসি রেডিওকে বলেছেন, ‘পলের সঙ্গে আমার এই সন্ধ্যায়ও কথা হয়েছে। আমিযেটা বুঝতে পারছি, ওর সাহায্য দরকার। হয়তো কেউ ওকে বাঁচাতে পারবে না। ওনিজেই যেমন বলে, অ্যালকোহলিক হওয়ায় ওর জীবন সব সময়ই ঝুঁকির মধ্যে।’ গ্যাসকোয়েনের প্রতি সরাসরি আবেদন জানিয়ে তাঁর অনেক দিনের এই সহকারী বলছেন, ‘পল, আমার কথা শোনো। কারণ তুমি ভালো করেই জানো আমি সব সময়ই তোমার ভালোচেয়েছি আকুলভাবে। তোমাকে সেটাই করতে হবে, যেটা তোমার করা দরকার বলে তুমিভালো করেই জানো।’ এএফপি।
নিউজরুম