শিক্ষা ডেস্ক(০৩ ফেব্রুয়ারী): এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকে রেখে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন, এবার উপজেলার সব বিদ্যালয়ই এসএসসির ফরম পূরণে বোর্ডের ফির দ্বিগুণ অর্থ নিয়েছে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এখন প্রবেশপত্র আটকে রেখে কেন্দ্র ফির নামে বিদ্যালয়গুলো পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ শ আদায় করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাউফল উপজেলার ৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আজ রোববার থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের জন্য কেন্দ্র ফি, সনদ ফিসহ অন্যান্য বাবদ মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৬১০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত আরও ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিলবিলাস আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়গুলোর সব বকেয়া পরিশোধ করার পর নির্ধারিত ফির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ দিয়ে এসএসসির ফরম পূরণ করা হয়েছে। অথচ এখন আবার প্রবেশপত্র আটকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভয়ে নিরুপায় হয়ে তাঁরা অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রবেশপত্র আটকে রেখে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বিলবিলাস আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী ফিরোজ আহমেঞ্চদ বলেন, যাদের কাছে পাওনা রয়েছে, কেবল তাদের কাছ থেকেই ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা অনেকেই দিচ্ছে না, তবে প্রবেশপত্র আটকে রাখা হচ্ছে না। যোগাযোগ করা হলে কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম সাদিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। প্রবেশপত্র আটকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজরুম