ভোলা (২ফেব্রুয়ারী) : দস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়ে উঠায় আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে ভোলার মেঘনা। গত ৩দিনে মনপুরা ও চরফ্যাশনে জেলেদের ট্রলারে পৃথক ৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দস্যুরা অস্ত্রের মুখে ২১ জেলে অপহরণসহ ৫টি ট্রলার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
হঠাৎ করেই দস্যুদের উপদ্রপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এসব ডাকাতির ঘটনা ভোলার সীমানার ঘটেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলেরা জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি ভোরে মনপুরা ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সীমানায় দস্যু বাহিনী জেলেদের ওপর আতর্কিত হামলা চালিয়ে একটি ট্রলারসহ গিয়াস মাঝি, ইউনুস ও আব্দুর রবসহ ৪ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
একই দিনে সন্ধ্যায় চরফ্যাশনের চর পিয়াল সীমানায় দস্যুরা ৩টি ট্রলারসহ ৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় আরও ১০ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মনপুরার চর নিজাম এলাকায় বাদশা, খায়ের, তাহের, জাফর, ছাদেক ও কালাম মাঝির ট্রলারে হামলা চালিয়ে ১২ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জেলেরা দস্যুদের প্রতিহত করতে চাইলে তারা ২০ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে।
এসব ডাকাতির ঘটনা জেলেদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হলেও সীমানা অজুহাত দেখিয়ে কোনো সহযোগীতা করছে না পুলিশ।
চরফ্যাশন এলাকায় ডাকাতির ব্যপারে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুলতান আহমেদ জানান, পটুয়াখালীর সীমানায় দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আজিজুল হক ডাকাতির ঘটনা ভোলার সীমানায় হয়নি বলে দায় এড়িয়ে যান। তবে ১ ফেব্রুয়ারির ডাকাতির ঘটনা পুলিশের জানা নেই বলে জানান তিনি।দস্যুতা নিমূর্লে ভোলার উপকূলে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে বলে এক স্বাক্ষতকারে ভোলার পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানিয়েছেন।
নিউজরুম