ঢাকা (২ ফেব্রুয়ারী) : বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্রসংগঠন শিবিরের হালকা আন্দোলন সরকার থামাতে পারছে না। সেক্ষেত্রে বিএনপি আন্দোলন শুরু করলে সরকারের কেউ থাকবেন না।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া নাগরিক ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নাল আবদিন ফারুক এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রুহুল কবীর রিজভী আহমেদসহ ১৮ দলের নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, জামায়ত-শিবির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তাদেরকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিলে চোরাগোপ্তা হামলা হতো না। সরকারই চাইছে, জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা করুক এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হোক।
জয়নাল আবদিন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, জনগণ বলতে শুরু করেছে পদ্মা সেতুর দুর্নীতির টাকার অংশ প্রধানমন্ত্রীর ঘরে আছে। এ জন্য বিশ্বব্যাংক চোর বলার পরও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত আবুলের বিরুদ্ধে। তাঁর জন্যই পদ্মা সেতু আটকে গেছে।
খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমস-এ লেখা নিবন্ধে যা বলেছেন, তা সঠিক বলেও মন্তব্য করেন জয়নাল আবদিন ফারুক।
ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন লিখেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন হুমকির মুখে। গোটা দেশ একটি পরিবারের হাতে জিম্মি। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে দেশটির সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল, দুর্নীতির কারণে তা-ও ম্লান হতে বসেছে। নির্বাচনে যাতে ভোটারদের সুষ্ঠু মতামত প্রতিফলিত হয়, সে জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো মিত্র দেশগুলোর জোরালো ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। গণতন্ত্রের পথ থেকে বাংলাদেশের বিচ্যুতি ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলোকে আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান রয়েছে এই নিবন্ধে।
সংসদে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, সরকার তো চেষ্টা করবে বিরোধী দলকে সংসদে নেওয়ার জন্য।
কিন্তু তা না হয়ে যদি বিরোধীদলীয় নেতার পরিবার নিয়ে অশোভন আলোচনা হয়; তাহলে সংসদে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বিএনপির পক্ষে সে ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব নয়।
নিউজরুম