নিজস্ব প্রতিনিধি(আব্দুল্লাহ আল রফি):
একটি ব্রীজের অভাবে ভাগ্য পাল্টাতে পারছেনা চলনবিলের সিংড়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রসার ছাত্র/ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ, মোটর সাইকেল, ভ্যানগাড়ীসহ বিভিন্ন যানবাহন। সিংড়া সদর থেকে ৪কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা-হরিপুর স্কুল সংলগ্ন নাগর নদীতে ব্রীজ নির্মাণের দীর্ঘ দিনের দাবী এ অঞ্চলের মানুষের। ব্রীজটি নির্মিত হলে পাল্টে যাবে চলনবিলের কৃষকদের ভাগ্য। বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার। নদীর দু’ধারে ভাংঙ্গনের কারণে যানবাহন চলে ঝুঁকি নিয়ে; এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রে¶িতে রাখালগাছা-হরিপুর গ্রামে নাগর নদীতে একটি জিপাবুল ব্রীজ নির্মাণের জন্য ২০০৫সালে এমপি মহোদয়ের সুপারিশসহ উপজেলা প্রকৗশলীর মাধ্যমে সংশ্লি¬ষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলাম। পরে ওই প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এঅঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি পুরণ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, চলনবিল অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সিংড়া বাজারে হাট করতে আসে। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে আনতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসকল কারণে ২০১০সালে এল জিএসপি প্রকল্প ও নিজ অর্থানে ১লক্ষ ২০হাজার টাকা ব্যয়ে এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, চলনবিলের হরিপুর, পারচক, ছোট হিয়াতপুর, হিয়াতপুর, মাহমুদপুর, তিনভিটা, ভাদুরীপাড়া, তাজপুর, রাখালগাছা, বজরাহার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই ব্রীজ দিয়ে পারাপার হয় এবং রাখালগাছা ও সিংড়া হাটে আসে। ব্রীজটি না হওয়ায় কৃষকরা তাদের ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছে না। তাছাড়া স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়ে ও অসুস্থ্য রোগীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এব্যাপারে ১০গ্রামের মানুষের দাবি অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিবে। ব্রীজ সংলগ্ন রাখালগাছা বাজারের ব্যবসায়ী নাজমূল হক জানান, হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা সহ অনেকেই এই ব্রীজ দিয়ে পারাপারের সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এব্যাপারে তাজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, এই ব্রীজের বাতিল হওয়া প্রকল্পটি সচল করার জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়কে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
নিউজরুম