কৃষি ডেস্ক(০২ ফেব্রুয়ারী): মাদারীপুরের সদর, রাজৈর ও কালকিনি উপজেলায় সরিষাখেতের পাশে মৌমাছির বাক্সবসিয়ে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌচাষিরা এসে এভাবেমধু চাষ করছেন। এই মধু চাষের কারণে সরিষার ফলনও ভালো হবে বলে কৃষি বিভাগজানিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাদারীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালকগোলাম মোস্তফা জানান, এবার জেলার ১১ হাজার ৭৭২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করাহয়েছে। সরিষাখেতের পাশে স্থাপিত এসব ভ্রাম্যমাণ মৌমাছির বাক্সের কারণে এবার১২ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরওজানান, মৌমাছি ফুটন্ত সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করায় পরাগায়ন ভালো হয়। একারণে সরিষার ফলনও বেড়ে যায়।
সদর উপজেলার খোয়াজপুরে গিয়ে দেখা গেছে, সরিষাখেতের পাশে উঁচু স্থানে সারি সারি মৌমাছির বাক্স বসানো হয়েছে। মৌমাছিসরিষার ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ফ্রেমে রাখছে। পরে মৌচাষিরা ওই বাক্স থেকেমধু সংগ্রহ করছেন। এলাকার অনেকেই ওই চাষিদের কাছ থেকে মধু কিনছেন।
গোপালগঞ্জেরমৌচাষি হায়দার হোসেন বলেন, ‘আমি মাদারীপুরে ১২০টি মৌমাছির বাক্স নিয়েএসেছি। মধু সংগ্রহের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষাখেতের পাশে বাক্সগুলোবসিয়েছি। ওই বাক্সগুলো থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০০-১১০ কেজি মধু সংগ্রহ করছি।’ তিনি জানান, প্রাথমিক অবস্থায় চাষিরা সরিষার ফুল থেকে মৌমাছি মধু নিলে ফলনকম হবে বলে তাঁদের মৌমাছির বাক্স বসাতে বাধা দিতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁরাজানতে পারছেন যে এভাবে বাক্স বসালে সরিষার ফলন ভালো হয়।
বাংলাদেশমৌচাষি কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৩ সালথেকে আমি এই ব্যবসা করছি। প্রতিবছর আমি চার থেকে পাঁচ টন মধু সংগ্রহ করি।’ তিনি জানান, সরিষার ফুল থেকে সংগ্রহ করা মধু মৌচাষিরা স্কয়ার, এপিসহ দেশেরবড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন।
নিউজরুম