কৃষি ডেস্ক(০২ ফেব্রুয়ারী): চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইছামতী নদীর ভাঙন ঠেকাতে বাঁশের বেড়া আর বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দিচ্ছেন কৃষকেরা। নদীভাঙন রোধে আবেদন করেও কোনো ফল না পাওয়ায় নিজেদের জমি রক্ষায় কৃষকেরা স্বেচ্ছায় এ কাজ করছেন।
কৃষকেরা জানান, দুই বছর আগে বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইছামতী নদীর রোয়াজার হাটের পশুরহাটসংলগ্ন ইছামতী চরে ভাঙন দেখা দেয়। এতে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি নদীগর্ভে হারিয়ে যায়। নদীভাঙন ঠেকাতে কৃষকেরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর ওই সময় আবেদন করেন। এতে কোনো ফল না পাওয়ায় কৃষকেরা নিজেদের জমি রক্ষায় বাঁশ, গাছ ও বালুর বস্তা দিয়ে নদীভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নেন।
চরের কৃষক আবুল কালাম জানান, গত সোমবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কৃষকেরা স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে এবং শ্রমিক নিয়োগ করে নদীতীরের ২০ ফুট নিচে গাছের খুঁটি গেড়ে ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য বাঁশের বেড়া দেন, যা করতে খরচ হয় এক লাখ টাকা।চরের কৃষক মুন্সি মিয়া সওদাগর এসব টাকা দান করেন।
মুন্সি মিয়া সওদাগর বলেন, চরের অধিকাংশ কৃষক গরিব। জমি রক্ষায় তাঁদের কান্না ও হাপিত্যেশ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কৃষকদের কান্না থামাতে বাঁশের বেড়া ও বালুর বস্তা দিয়ে নদীর ভাঙন ঠেকানোর খরচ দেন তিনি।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আজম সিদ্দিকী এ প্রসঙ্গে বলেন, ইছামতী চরের পূর্ব পাশে ভেঙে যাওয়া নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাঙামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সিবেন্দু খাস্তগীর প্রথম আলোকে বলেন, ইছামতী চরের কৃষিজমি রক্ষায় নদীর তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করা হবে।
নিউজরুম