আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(০২ ফেব্রুয়ারী): বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করা হয়েছে গতকাল শুক্রবার। এ উপলক্ষে অমুসলিমনারীদের এই দিনে হিজাব পরার আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্যাপক সাড়া মেলে।হাজারো অমুসলিম নারী হিজাব পরে দিবসটি পালন করেন।
‘হিজাব পরার অভ্যাসআমার নেই। এর পরও মাথায় টুকরো হিজাব পরেছি। জিনিসটি সুন্দর। ভালোই লাগছে।টের পাই, আমার সামনে অনেক বিকল্প আছে।’ এ প্রতিক্রিয়া জেস রোদেস নামের একঅমুসলিম ছাত্রীর। তাঁর বয়স ২১ বছর। পড়েন যুক্তরাজ্যের একটিশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। মাথায় হিজাব পরার একটা গোপন বাসনা তাঁর মনের কোণেদীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু তাঁর পরিবারে এর চল নেই। তাই এত দিন পরাহয়ে ওঠেনি। একদিন এক সহপাঠিনী তাঁকে হিজাব পরার আহ্বান জানালে লুফে নেন।জেস জানান, ‘সহপাঠিনী আশ্বস্ত করে, এটি আসলে শালীনতাবোধের বিষয়। এর সঙ্গেইসলামের সংযুক্তি আছে, এটা সত্য। কিন্তু চাইলে অমুসলিম নারীরাও হিজাব পরতেপারেন। তাই ভাবলাম, আমিই বা কেন পরে দেখি না?’ তবে পরিবারের সদস্যদেরআশঙ্কা ছিল, হিজাব পরে রাস্তায় বেরোলে জেসকে নানা টিপ্পনী সইতে হবে।বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। জেসের মনেও ছিল সংশয়। কিন্তু তার পরও সাহসকরে এক মাস হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নেন। জেস বলেন, ‘প্রথম দিকে বিব্রত লাগত।অস্বস্তিবোধ হতো। কিন্তু আট দিনের মাথায় সব সামলে উঠি।’ জেসের মতো গতকালপ্রথম বিশ্ব হিজাব দিবসে সারা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের হাজারো অমুসলিমনারী হিজাব পরেন।
এমন একটা দিন উদ্যাপনের চিন্তাটা প্রথমে আসেনিউইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান নামের এক নারীর মাথায়। তাঁর উদ্যোগে বিশ্বের৫০টি দেশ থেকে নারীরা ইতিবাচক সাড়া দেন। পরে তিনিই এর আয়োজন করেন।
হিজাবকেঅনেকে দেখেন নারীদের অবদমন ও বিভাজন সৃষ্টির প্রতীক হিসেবে। নানা বিতর্কমোকাবিলায় এই বিশ্ব হিজাব দিবসের ডাক দেন নাজমা। অমুসলিম ও মুসলিম নারীদেরযাঁরা সচরাচর হিজাব পরেন না, তাঁদের অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেন তিনি। নাজমাখানের জন্ম বাংলাদেশে। মাত্র ১১ বছর বয়েসে নিউইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি।নাজমা বলেন, ‘স্কুলে কেবল আমিই হিজাব পরতাম। এ জন্য নানা বৈষম্যের শিকারহতে হয়েছে। তাই ভাবলাম, অমুসলিম নারীরা যদি মাত্র এক দিনের জন্য হলেও হিজাবপরেন, তাহলে মুসলিম নারীদের আর এ ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হবে না।’ বিবিসি।
নিউজরুম